মাদককাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকবার অপরাধে মঙ্গলবার সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্তকে রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।এদিন তৃতীয়বারের জন্য এনসিবির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন রিয়া। এরপর বিকাল ৪টে নাগাদ রিয়ার গ্রেফতারির খবরে সিলমোহর দেয় এনসিবি। সুশান্ত মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে শৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডার, কেশব সহ ৯ জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। আর আজ নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো গ্রেফতার করল রিয়াকে।
রিয়ার গ্রেফতারির খবর সামনে আসবার পর সুশান্তের পরিবারের তরফে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন সুশান্তের আমেরিকানিবাসী দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি। এনসিবির এই গ্রেফতারির পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে টুইট করলেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা। তিনি লেখেন, ‘ভগবান আমাদের সঙ্গে রয়েছেন’। সঙ্গে জোড় হাতের ইমোজি যোগ করেন শ্বেতা।
সুশান্তের মৃত্যু মামলার তদন্ত করছে সিবিআই, অন্যদিকে সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত করছে ইডি। সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত তিনটি মামলার তদন্ত করছে তিন পৃথক কেন্দ্রীয় সংস্থা।
শ্বেতার পাশাপাশি রিয়ার গ্রেফতারির পর টুইট বার্তায় প্রতিক্রিয়া দিলেন সুশান্তের ন্যায়বিচারে পরিবারের পাশে দাঁড়ানো অঙ্কিতা লোখান্ডে। সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা এদিন টুইটারে লেখেন, ‘বিচার’। সঙ্গে একটি ছোট্ট বার্তা জুড়ে দেন। যেখানে লেখা রয়েছে- ‘কিছুই বাই চান্স ঘটে না, কিছুই ভাগ্যের জোরে ঘটে না। তুমি নিজে নিজের ভাগ্য লেখ, তোমার কাজের মধ্যমে, সেটাই তোমার কর্মফল’।
গ্রেফতারির পর রিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সাইন হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য। আজই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হবে রিয়াকে। সূত্রের খবর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রিয়ার ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের দাবি জানাবে এনসিবি।
রিয়ার গ্রেফতারির পর রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে বলেন, ‘তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থা হাত ধুয়ে একজন মহিলার পিছনে পড়েছে, কারণ সে এমন একজনকে ভালোবাসত যে মাদকাসক্ত ছিল এবং মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিল বেশ কয়েক বছর ধরে এবং মুম্বইয়ের পাঁচজন নামী মনোচিকিত্সক তাঁর চিকিত্সা করছিল। যে আত্মহত্যা করে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছে, তাঁকে বেআইনিভাবে দেওয়া ওষুধের সেবন করে’।
অন্যদিকে গতকালই মুম্বই পুলিশের কাছে সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং, মীতু সিং এবং চিকিত্সক তরুণ কুমারের বিরুদ্ধে আইপিসি এবং এনডিপিএস আইনের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেন রিয়া। রিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরও দায়ের করে বান্দ্রা পুলিশ, পরবর্তী সময়ে তা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও এই এফআইআরকে বেআইনি এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অবমাননা বলে উল্লেখ করেছেন সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং। এই এফআইআরের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানাবে সুশান্তের পরিবার।