শুক্রবার সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত আর্থিক তছরূপের মামলায় ইডির দফতরে হাজির হলেন রিয়া চক্রবর্তী। এদিন সকাল ১১টায় ইডির দফতরে পৌঁছানোর কথা ছিল রিয়া চক্রবর্তীর। তবে ‘আত্মগোপন’ করে থাকা রিয়া এদিন সকালে নিজের আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে আবেদন করেন তাঁকে সময় দেওয়া হোক ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার। সূত্রের সেই আবেদন সরাসরি নাকচ করে দেয় ইডি,জানায় আজই হাজিরা দিতেই হবে ইডির দফতরে, না হলে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা। অবশেষে উপায় না দেখে শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ ইডির দফতরে পৌঁছালেন রিয়া চক্রবর্তী।
সুশান্ত সিং রাজপুতের গার্লফ্রেন্ড রিয়ার বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ এনেছে সুশান্তের পরিবার। সুশান্ত সিং রাজপুত প্রতিষ্ঠিত দুটি সংস্থার ডিরেক্টারের পদেও রয়েছেন রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। এই সংস্থাগুলির আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখছে ইডি।
গত ৩১ জুলাই এনফোর্টমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট বা ইসিআইআর রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবার এবং ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। সুশান্তের পরিবারের তরফে দায়ের করা এফআইআর রিপোর্টের ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে এই ইসিআইআর রিপোর্ট।
ইডির জেরায় বেশকিছু কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে সুশান্ত সিং রাজপুতের গার্লফ্রেন্ডকে। টাইমস নাওয়ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে রিয়া চক্রবর্তীর আয় ছিল মাত্র ১৪ কোটি টাকা। তেমনই বলছে তাঁর ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (ITR) ফাইল।
এত কম টাকা আয় করা সত্ত্বেও সম্প্রতি নাকি রিয়া মুম্বইয়ে দুটি কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি কেনেন। একটি সম্পত্তি রিয়ার নিজের নামে, অন্যটি রিয়ার পরিবারের এক সদস্যের নামে। সেই টাকা কোথা থেকে এল? জানতে চাইবে ইডি।
ইতিমধ্যেই সুশান্তের চার্টার অ্যাকাউন্টান্ট, সন্দীপ শ্রীধরের বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি। যদিও সূত্রের খবর সেই বয়ানে সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার রিযার চার্টার অ্যাকাউন্টান্টকেও জেরা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। এছাড়াও এই মামলায় সিদ্ধার্থ পিঠানির ও শ্রুতি মোদীকেও সমন পাঠিয়েছে ইডি। সুশান্তের ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার ও ফ্ল্যাট মেইট সিদ্ধার্থ পিঠানিকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে শনিবার। অন্যদিকে ইসিআইআর রিপোর্ট নাম রয়েছে শ্রুতি মোদীর। সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার হওয়ার পাশাপাশি রিয়ার ম্যানেজার শ্রুতি মোদী।