‘বোলে চুড়িয়া’ নিয়ে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও তাঁর ভাই, পরিচালক শামস সিদ্দিকির মধ্যে বিবাদ চরমে! এক সাক্ষাত্কারে শামস জানিয়েছেন, নওয়াজ এই ছবিতে আরও রিয়েল ‘লুক অ্যান্ড ফিল’ দিতে চেয়েছিলেন, যদিও শামস পুরোপুরিভাবে একটি বাণিজ্যিক ছবি তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
একের পর এক বিতর্ক শুরু থেকেই পিছু ছাড়ছে না ‘বোলে চুড়িয়া’-র। শুরুতে মৌনী রায় শেষ মুহূর্তে ছবি থেকে সরে দাঁড়ান, সেই জায়গা নেন তামান্না ভাটিয়া। এবার দুই ভাইয়ের মধ্যে সৃজনশীলতা নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছে ছবির নাম। শামস যদিও বিষয়টিকে খুব বেশি পাত্তা দিতে না-রাজ। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ঝামেলাটা হয়েই থাকে একজন পরিচালক ও অভিনেতার মধ্যে।
এই ছবির একটা গান সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করেননি নাওয়াজ, সেই নিয়েও মাথা ঘামাতে চাইছেন না অভিনেতার ছোট ভাই। তিনি বলেন, ‘আমার এই নিয়ে কোনও মাথা ব্যাথা নেই, মানুষজন গানগুলো পছন্দ করছেন এটাই তো চাই। নওয়াজ চেয়েছিল ছবিতে একটু বাস্তবতা বজায় রাখতে, আমি চেয়েছিলাম কমার্শিয়্যাল ছবি বানাতে’।
সপ্তাহখানেক আগে বলিউড তারকাদের মলদ্বীপে ছুটি কাটানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। পালটা শামস টুইট করেন, নওয়াজের এতো রাগ করবার কী আছে! তিনি নিজে কঠিন সময়ে দেশবাসীর পাশে দাঁড়াতে কী উদ্যোগ নিচ্ছেন তাও জানতে চান শামস। স্পষ্ট লেখেন- ‘ফালতু মে আচ্ছে বননে কি কোশিস কিঁউ কর রহে হো’ (বেকার নিজেকে ভালো দেখানোর প্রচেষ্টা কেন করছো?)
গত বছর থেকেই সিদ্দিকি পরিবারের অন্তর্কলহ মিডিয়ায় ঘুরে ফিরে এসেছে। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির স্ত্রী, আলিয়া গত বছর শামসের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনেন। নওয়াজের বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা ঠুকেছিলেন আলিয়া, তাঁর বিরুদ্ধে বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কে জড়িত থাকবারও অভিযোগ এনেছিলেন। যদিও মাসখানেক আগেই সিদ্ধান্ত বদল করেন আলিয়া। আলিয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর, ছেলেমেয়েদের যেভাবে খেয়াল রেখেছেন নওয়াজ, তা দেখেই নাকি এই সিদ্ধান্ত বদল, জানান তিনি।