মার্চ মাসের মাঝামাঝি জানা যায় রুক্মিণী মৈত্র করোনা আক্রান্ত। কিন্তু অভিনেত্রী সেই সময় নিজের শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে। খুব শীঘ্রই অভিনেতা বিদ্যুৎ জামালের বিপরীতে ‘সনক’ ছবি দিয়েই বলিউডে পা রাখতে চলেছেন। তারই শ্যুটিং করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হন। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করতে হয়েছিল হাসপাতালেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিলেন সেইসব দিনের অভিজ্ঞতা।
হঠাৎই তাঁর জ্বর-সর্দি-কাশি শুরু হয়। পরীক্ষা করে জানতে পারেন তিনি করোনা পজিটিভ। একদিকে শরীরের দুর্বলতা, অন্যদিকে অপরিচিত শহর, পাশে নেই কোনও প্রিয়জন। যদিও ফোন বা ভিডিও কলের মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে কথা হত, তাও সেসময় বড় একা হয়ে পড়েছিলেন বলেই জানান অভিনেত্রী। ET Times-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুক্মিণী জানান, ‘আমি সাধারণত খুবই পজিটিভ মানুষ। কিন্তু হাসপাতালে থাকার সময়ে একটা পয়েন্টে মনে হচ্ছিল আর বোধহয় পারব না। বুক ফেটে কান্না আসত। মনে হতে শুরু করেছিল, পারব তো বেঁচে ফিরতে!’
করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর কলকাতায় পরিবার ও আপনজনদের কাছে ফিরে যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন অভিনেত্রী। ‘কাছের বন্ধু’ দেবের সঙ্গে অনেকদিন বাদে দেখা হওয়ার আনন্দটাও অন্যরকম ছিল। রুক্মিণী জানান, ‘মনে হত যেন কতদিন হয়ে গিয়েছে ওর মুখটা দেখিনি। আমি জানি ও এই সময়ে আমার পাশে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, মানুষ চাইলেও অনেক কিছুই করতে পারছে না। ও বার বার আমাকে বলতো, শক্ত থাকতে, বলতো এই দুঃসময় খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে।’ যদিও রুক্মিণী মনে করেন আইসোলেশন তাঁকে আরও শক্ত মনের মানুষ হতে সাহায্য করেছে। বুঝিয়েছে পরিবার ও আপনজনের সত্যিকারের মর্ম।