বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Saayoni Ghosh: 'মস্ত বড় ভুল পদক্ষেপ',নন্দনে জায়গা না পাওয়া ‘অপরাজিত’র পাশে তৃণমূল নেত্রী সায়নী

Saayoni Ghosh: 'মস্ত বড় ভুল পদক্ষেপ',নন্দনে জায়গা না পাওয়া ‘অপরাজিত’র পাশে তৃণমূল নেত্রী সায়নী

সায়নী ঘোষ ছবিতে বিজয়া রায়ের আদলে তৈরি চরিত্রে

‘অপরাজিত’-তে আমি আছি। তা হলে নন্দনে জায়গা পেল না কেন?’ পরিচালকের পাশে থাকলেও ‘সেফ’ খেললেন  সায়নী?

সত্যজিতের হাতেই নামকরণ হয়েছিল নন্দনে, সেই সরকারি প্রেক্ষাগৃহেই মুক্তির সপ্তাহে জায়গা হল না সত্যজিতের জীবনভিত্তিক ছবি ‘অপরাজিত’র। সেই নিয়ে তীব্র বিতর্ক টলিপাড়ায়। কেন নন্দন, রাধা সিনেমার মতো সরকারি প্রেক্ষাগৃহে জায়গা হল না ‘অপরাজিত’র, সেই নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। শাসক দলের বিরুদ্ধে বারবার মুখ খোলার জন্যই কি পরিচালক অনীক দত্তের ছবি জায়গা পেল না নন্দনে? এমন কানাঘুষো নিয়েও চাপা উত্তেজনা। পরিচালক বলছেন, তাঁর কাছে এই প্রশ্নের উত্তর নেই তবে তিনি হতাশ।

‘পথের পাঁচালী’ তৈরি করতে গিয়ে ঠিক কী কী মুশকিলের সম্মুখীন হতে হয়েছিল সত্যজিত রায়কে তাই এই ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন অনীক দত্ত। এই ছবিতে সত্যজিৎ পত্নী বিজয়া রায়ের আদলে তৈরি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সায়নী ঘোষ। ভূতের ভবিষ্যতের প্রদর্শন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে অনীকে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সায়নী। এবার তো তিনি নিজে ছবির অংশ, এবারও কি পরিচালকের পাশে দাঁড়াবেন তিনি? সেই প্রশ্ন সরাসরি সায়নীকে ছুড়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। 

অবশেষে মুখ খুললেন সায়নী। এখন তিনি তৃণমূলের যবুনেত্রী। তবে এবারও অনীক তথা নিজের ছবির পরিচালকের পাশে তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাঁর কাছে এটা অনীক দত্ত নয় সত্যজিত রায়ের ছবি। যে পরিচালক বাংলাকে, বাংলা সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছেছিলেন তাঁর ছবি নন্দনে জায়গা পাবে না এটা তাঁকে আঘাত দিয়েছে। সায়নীর কথায়, ‘নন্দন কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ মস্ত বড় ভুল, মানতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমি এ বারেও অনীকদার পাশেই। এই ছবি নন্দনে না দেখানো বাংলার দর্শকের প্রতি অবিচার, ছবিটার প্রতি অবিচার করা হবে।’

সায়নী নিজেও বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে নন্দন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নাকি কথা বলেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ পালটা জানিয়েছে, ‘কিশমিশ’, ‘রাবণ’, ‘মিনি’র মতো ছবি এই মুহূর্তে দর্শক টানছে। সেগুলো মাত্র এক সপ্তাহ প্রদর্শিত হয়েছে, তাই এখনই সম্ভব নয় অপরাজিত-কে জায়গা দেওয়া। 

তবে ‘অপরাজিত’র প্রদর্শন নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে মানতে না-রাজ তিনি। তাঁর কথায়, ‘এই ছবি এবং হল পাওয়া বিষয়টি রাজনীতির ঊর্ধ্বে। বিষয়টি অনীক দত্ত বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল বনাম সিপিএম নয়। তা হলে যুবনেত্রী হওয়ার পরে অনীকদা আমায় ছবিতে নিতেন না। অনেকেই বলছেন, তিনটি ছবিতে শাসকদলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। তাই তাঁদের ছবি জায়গা পেয়েছে। ‘অপরাজিত’-তে আমি আছি। তা হলে জায়গা পেল না কেন?’

একসঙ্গে অনেক বাংলা ছবি মুক্তি পাওয়ার জেরেই হল নিয়ে টানাটানি, মনে করেন সায়নী। এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলায় এক সঙ্গে অনেক ছবি মুক্তি পায়। সেটার ভাল দিক যেমন আছে, কিছু অসুবিধেও রয়েছে।’ তাই দর্শকদের কাছে অভিনেত্রীর আন্তরিক অনুরোধ, ‘‘যে সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে সেখানে গিয়ে সবাই ছবিটি দেখুন। হল ভরলে, বাণিজ্য ভাল হলে, সমালোচক, দর্শকের প্রশংসা পেলে এবং হাউজফুল বোর্ড ঝুললে নন্দনেও সত্যজিৎ রায় ‘অপরাজিত’ই থাকবেন।’

 

বন্ধ করুন