সলমন খানের লাভ লাইফের অন্যতম চর্চিত নাম সোমি আলি। সল্লু মিঁয়ার হাত ধরেই অভিনয় সফর শুরুর কথা ছিল এই পাক নায়িকার। তবে সেই প্রোজেক্ট মাঝপথেই থমকে যায়। কিন্তু ছবি বন্ধ হলেও জারি ছিল সলমন-সোমির প্রেমের সফর। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে সোমি জানিয়েছেন সেই ছবির নাম ছিল 'বুলন্দ', প্রাক্তন অভিনেত্রী আরও জানান এই ছবির শ্যুটিংয়ে কাঠমান্ডু পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন তাঁরা, এরপর আচমকাই বন্ধ হয়ে যায় ছবি।
‘সলমন সবেমাত্র ওর নিজের প্রোডাকশন হাউজ শুরু করেছিল, এবং ওর বিপরীতে অভিনয়ে জন্য একটা মুখ খুঁজছিল। ছবির নাম ছিল বুলন্দ। আমরা শ্যুটিং করতে কাঠমান্ডু পর্যন্ত পৌঁছেছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওই প্রোজেক্টটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি তো একদম নতুন ছিলাম, প্রযোজকদের কোনও একটা সমস্যা হয়েছিল। বলব এই ছবিটা আমাদের সম্পর্কের আদর্শ মেটাফোর’, জানান সোমি আলি।
এর আগে এক সাক্ষাত্কারে সোমি জানিয়েছিলেন ১৬ বছর বয়সে বাবা-মায়ের কাছে বায়না করেছিলেন তিনি সলমনকে বিয়ে করবেন। বাকি আর পাঁচটা বাবা-মায়ের মতো তাঁর বাবা-মা-ও বিষয়টাকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই মিথ্যের সাহায্য নিয়ে পাকিস্তান থেকে মুম্বই ‘পালিয়ে’ আসেন তিনি। সোমির কথায়, সেই সময় ১৯৯১ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবি দেখে সলমনের জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সলমনের সঙ্গে আজও কি যোগাযোগ রয়েছে? সোমি জানান, ‘আমি সলমনের সঙ্গে পাঁচ বছর কথা বলিনি। আমার মনে হয় এটার একটা ভালো দিক রয়েছে। আমরা দুজনেই জীবনপথে অনেকটা এগিয়ে গেছি। আমি জানি না আজ পর্যন্ত ওর জীবনে কতগুলো মেয়ে এসেছে, আমি ওকে ১৯৯৯-এর ডিসেম্বরে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর। ওর ভালো হোক সেটাই চাই। ওর এনজিও বিয়িং হিউম্যান খুব ভালো কাজ করছে, আমি গর্বিত সেই বিষয় নিয়ে। কিন্তু মানসিকভাবে ওর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখাটা আমার পক্ষে ভালো। ওর নিজের মতো করে ভালো আছে, আমি সেটাই চাই’।
আট বছর সলমনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন সোমি। এর আগে জুম চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রাক্তন নায়িকা জানান, ‘২০ বছর হয়ে গেছে আমাদের সম্পর্ক ভাঙার। ও আমাকে ধোঁকা দিয়েছিল এবং আমি সম্পর্ক ভেঙে দিই, এবং মুম্বই ছেড়ে চিরকালের মতো চলে যাই। হিসাবটা খুব পরিষ্কার’।
সলমনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ভাঙার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান সোমি। সেখানে নতুন করে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন। এরপর লেখিকা, সমাজকর্মী হিসাবে নিজের পরিচয় করে তুলেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী।'নো মোর টিয়ারস' নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সোমি। কাজ করেন দক্ষিণ এশিয়ার পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে।