ইদে কমিটমেন্ট বজায় রেখে এই কঠিন পরিস্থিতিতেও 'রাধে' রিলিজ করেছেন অভিনেতা-প্রযোজক সলমন খান। বলিউডে নতুন ট্রেন্ড তৈরি করে, একইসঙ্গে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই করোনায় লাগাম টানতে প্রেক্ষাগৃহ তালাবন্ধ, তবে ইউএই (UAE), অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ভাইজানের এই ছবি।
প্রথম সপ্তাহান্তের পরে রাধে'র মোট কালেকশন (ওটিটি ও বক্স অফিস মিলিয়ে) ১৮৩ কোটির কাছাকাছি। অস্ট্রেলিয়া, নিউজ়িল্যান্ড, সংযুক্ত আরবের মতো দেশে ‘রাধে’র বক্স অফিসে লক্ষ্মীলাভ হয়েছে ভালই। প্রথম তিনদিনে বিদেশে মোট ১৩.০৩ কোটি টাকার ব্যাবসা করেছে পরিচালক প্রভু দেবার এই ছবি।
অস্ট্রেলিয়ার বক্স অফিসে আয়- ১.৫৫ কোটি টাকা (প্রথম তিন দিন)
নিউজিল্যান্ডের বক্স অফিসে আয়- ১৭.৮১ লক্ষ (প্রথম তিন দিন)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে আয়- ১.২০ কোটি টাকা (প্রথম তিন দিন)
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বক্স অফিসে আয়- ৮.৮৯ কোটি টাকা (প্রথম তিন দিন)
জি প্লেক্সে পে পার ভিউয়ের মাধম্যে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। সলমন খান জানিয়েছিলেন প্রথম দিন ৪.২ মিলিয়ন (৪২ লক্ষ) ভিউজ়ের রেকর্ড গড়েছিল ‘রাধে’। জি প্লেক্সে রাধে দেখতে দর্শকদের গ্যাঁটগচ্ছা গিয়েছে কমপক্ষে ২৪৯ টাকা। সেই হিসাবে প্রথমদিনই ওটিটিতে ১০০ কোটির গন্ডি হেলায় পার করে গিয়েছে সলমন খানের এই ছবি।
সমালোচকদের পাশাপাশি দর্শকদের মন জয়েও এই ছবি ব্যর্থ তা বেশ স্পষ্ট। সলমন ফ্যানেদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই মুহূর্তে ছবির IMDb রেটিং কমে এসে দাঁড়িয়েছে ১.৯-এ, যা রেস থ্রি-র সমান।
হিন্দুস্তান টাইমসের রিভিউতে এই ছবির সম্পর্কে স্পষ্ট লেখা হয়েছে, এটা সলমনের কেরিয়ারে 'সবচেয়ে খারাপ' ছবি। ছবির চিত্রনাট্যের কোনও মাথামুন্ডু নেই, CGI দৃশ্য খুব নিম্নমানের এবং একই রকমের পুরোনো গতে বাঁধা ওয়ান লাইনারে ভরপুর এই ছবি। রাধে যে একমাত্র সলমন খানের স্টার পাওয়ারের উপরই নির্ভর করে তৈরি তা স্পষ্ট। এবং শুধুমাত্র সলমন খান ভক্তদেরই এই ছবি দেখা উচিত, অন্যেরা এই ছবি দেখলে বেজায় হতাশ হবেন।