অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণ এখনও মেনে নিতে পারছেন না তাঁর ভক্তরা। এরই মাঝেই রবিবার সম্পন্ন হল অভিনেতার শ্রাদ্ধ-শান্তির অনুষ্ঠান। ঠিক ১১ দিন আগে সকলকে কাঁদিয়ে না-ফেরার দেশে পারি দিয়েছেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, এর এদিন হিন্দু ধর্মীয় নিয়ম-রীতি মেনেই প্রয়াত স্বামীর পারলৌকিক কাজ সারলেন সংযুক্তা।
গত ২৪শে মার্চ ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৫৭ বছর বয়সী অভিনেতা। এদিন অভিষেকের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে থমথমে চোখমুখে দেখা মিলল সংযুক্তার। সাদা সালোয়ার কামিজে সদ্য স্বামীহারা সংযুক্তা, তিনিই সারলেন অভিষেকের পারলৌকিক কাজ। এদিন রজনীগন্ধার ফুল-মালায় সাজানো হয়েছিল অভিষেকের সুবিশাল একটি ছবি। সাদা-কালো ছবিতে অমলিন তাঁর হাসি। এদিন টেলিপাড়া ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু ব্যক্তিত্বই পৌঁছেছিলেন প্রয়াত অভিনেতাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে পাঠানো শ্রদ্ধার্ঘ্য নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন পরিচালক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা, ঐন্দ্রিলা সেনরঅভিষেকের দীর্ঘদিনের বন্ধু কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, লাবণি সরকার, খড়কুটো পরিবারের জেঠাই অর্থাত্ অভিনেতা দুলাল লাহিড়ি, শঙ্খ-মোহর জুটি (প্রতীক সেন ও সোনামণি সাহা) সবাই পৌঁছেছিলেন অভিষেকের পারলৌকিক কাজে।
গত সপ্তাহেই অভিষেকের ফেসবুকের দেওয়াল থেকে দীর্ঘ পোস্ট লেখেন পত্নী সংযুক্তা। সেখানে তিনি জানান, অভিষেকের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থা নিয়ে যেসব খবর প্রচারিত হয়েছে তা ভুয়ো ও ভিত্তিহীন। অভিষেক পত্নী স্পষ্ট বলেন, 'অভিষেক একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তিনি চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে, কিন্তু নিজের পরিবারকে আর্থিকভাবে সুরক্ষিত করে গেছেন। ওঁর কাছে পরিবারই সব ছিল। উনি এটি নিশ্চিত করে গেছেন, যে ওঁর অবর্তমানে আমাদের কারও যাতে কোনও আর্থিক কষ্ট না থাকে। নীতিবোধ চরম ছিল ওঁর। জীবনে কখনও কারও থেকে হাত পেতে সাহায্য চাননি। এই মুহূর্তে ওঁর সেই নীতিগুলোকে মর্যাদা জানানো উচিত আমাদের’।
২০০৮ সালে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল অভিষেক ও সংযুক্তার। তাঁদের একমাত্র মেয়ে সাইনা।