জাভেদ আখতারের সঙ্গে সুখী গৃহকোণ শাবানা আজমির। কিন্তু শুরুর দিকে সহজ ছিল না এই সম্পর্ক। জাভেদ আখতারের সঙ্গে শাবানার সম্পর্ক, এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছিল অভিনেত্রীর পরিবার। শাবানার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন জাভেদ। হানি ইরানি ও জাভেদ আখতারের দুই সন্তানও ছিল- জোয়া ও ফারহান আখতার।
সম্প্রতি টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে এক আলাপচারিতায় শাবানা স্বীকার করে নিয়েছেন জাভেদ আখতারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে সায় ছিল না পরিবারের। শাবনার কথায়, ‘উনি বিবাহিত পুরুষ ছিলেন, তাঁর সন্তান ছিল। খুব কঠিন ছিল, তাই আমার মনে হয় অন্যের সম্পর্ক নিয়ে লোকের মন্তব্য করা অনুচিত। কারণ সেই সম্পর্কের মধ্যে থাকা মানুষদের জন্যই অনেকসময় পরিস্থিতি মুশকিল হয়, আর সেটা নিয়ে মুখোরোচক আলোচনা একদমই কাম্য নয়। অনেকে এমনও বলতে পারেন, আপনি নিজেকে নারীবাদী বলে দাবি করেন, তাহলে আপনি ওইরকম পরিস্থিতিতে কীভাবে জড়িয়ে পড়লেন?’
শাবানা আরও বলেন, ‘সেই সময় আমার একটাই জিনিস করণীয় ছিল, আমি নিজের দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে পারতাম সকলের সামনে। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম সেটা করলে আরও বেশি করে আলোচনা বাড়বে, সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া চলবে, তাই চুপ ছিলাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ একদিন ঠিক জানতে পারবে আসলে বিষয়টা কী ছিল। এরজন্য কিন্তু অনেক কিছু ভালো হয়েছে, এবং তার জন্য অনেকটা প্রশংসা প্রাপ্য হানি (ইরানি, জাভেদ আখতারের প্রথম স্ত্রী)-র। কারণ উনি কোনওদিন সন্তানদের মন আমার বিরুদ্ধে বিষিয়ে দেননি। উনি এই বিষয়টা খুব উদারভাবে মেনে নিয়েছিলেন। এমনকি উনি জোয়া আর ফারহানকে আমাদের সঙ্গে লন্ডনে পাঠিয়েছিলেন, যাতে আমাদের মধ্যে একটা দুর্দান্ত বন্ডিং তৈরি হয়। জোয়া আর ফারহানের সঙ্গে আমার যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তার পুরো ক্রেডিট হানি ইরানির’।
১৯৮৪ সালে ‘নিকাহ’ সারেন শাবানা আজমি ও জাভেদ আখতার। শাবনার কথায়, প্রেমিক নয় বন্ধু জাভেদ আখতারের সঙ্গেই গোটা জীবন কাটাতে চেয়েছিলেন শাবনা, দেশ-দুনিয়া সম্পর্কে দুজনের চিন্তাধারায় মিল থাকায় জাভেদকেই নিজের আদর্শ জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন শাবানা।
শাবনার সঙ্গে বিয়ের এক বছর পর ১৯৮৫ সালে হানি ইরানিকে ডিভোর্স দেন, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার তথা কবি জাভেদ আখতার।