একটা সময় বলিউডের চর্চিত জুটি ছিলেন শাহিদ-করিনা। ‘ফিদা’ ছবির সেটে ‘চকোলেট বয়’ শাহিদকে মন দিয়ে বসেছিলেন করিনা। কাপুর কন্যার চার্ম এড়িয়ে যেতে পারেননি শাহিদও। খুলমখুল্লা প্রেম করেছেন তাঁরা। ২০০৪ সালে আচমকাই শাহিদ-করিনার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিয়ো ফাঁস হয়ে যায় মিডিয়ায়। প্রায় দু-দশক পর সেই কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন শাহিদ। অভিনেতার কথায়, ‘আমি ধ্বংস হতে বসেছিলাম’।
মিড-ডে'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহিদ বলেন ফাঁস হওয়া এমএমএস কীভাবে তাঁকে বিপর্যস্ত করেছিল। যদিও সেই এমএমএস কাণ্ডের পর অভিযোগের আঙুল উঠেছিল শাহিদের দিকেই। তাঁর ফোনেই নাকি রেকর্ড করা হয়েছিল ওই দুই ভিডিয়ো। যার একটি গভীর চুম্বনরত অবস্থায় দেখা গিয়েছে শাহিদ-করিনাকে, অন্যদিকে একে একে পোশাক খুলছেন করিনা। নায়কের কথায়, ‘সেই সময় আমি ধ্বংস হতে বসেছিলাম। তখন আমি সবে ২৪ বছরের ছেলে, মনে হয়েছিল আমার গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হয়েছে আর নিজেকে রক্ষা করতে আমি কিছুই করতে পারিনি। আমি তো ভেবেই পাচ্ছিলাম না কী ঘটে গেল, কী ঘটছে! এই ধরণের ঘটনা নিঃসন্দেহে তোমাকে প্রভাবিত করে, বিশেষত ওই বয়সে। তুমি নিজের অনুভূতিটা ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারোনি, একজন মেয়ের সঙ্গে কীভাবে প্রেম করতে হয় সেটা বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছো… তার মধ্যে এই ঘটনা। যেখানে তোমরা দুজনেই অভিনেতা….’।
সাক্ষাৎকার গ্রহীতা শাহিদকে জানান, ৩টে বাচ্চা তাঁদের অফিসে এসেছিল ওই ভিডিয়ো ফুটেজ নিয়ে, যা একটি ক্লাব থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে তাঁরা পেয়েছিল। শাহিদ হেসে জানান, হয়ত সাংবাদিক বন্ধু নিজেই সেই টাকা ওই বাচ্চাদের দিয়েছিল।
ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই শাহিদের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন বেবো। ফিদার পর ‘চুপকে চুপকে’, ‘৩৬ চায়না টাউন’, ‘মিলেঙ্গে মিলেঙ্গে’-র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন, তবে একটি ছবিও বক্স অফিসে চলেনি। ২০০৬ সালে এই বহুল চর্চিত প্রেম কাহিনি শেষ হয়। প্রেমের মতো তাঁদের বিচ্ছেদও ছিল রাখঢাকহীন। ব্রেকআপের পর জব উই মেট ছবিতে জুটি বাঁধেন শাহিদ-করিনা, সেই ছবি ছিল ব্লকবাস্টার হিট।
শাহিদ আরও জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। শাহিদের কথায়, ‘এখন তুমি জানো কী ঘটতে চলেছে। একবার অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়ে গিয়েছো। কিন্তু এখন সবটা পরিচিত। আর এখন তো আমি বিবাহিত, দুই বাচ্চার বাবা। এখন আর আমার এইসব ব্য়াপারে লোকের আগ্রহ নেই, এখন তোমাদের কাছে অন্য অনেক ২৪ বছরের লোকজন রয়েছে ফোকাস করবার’।