‘শার্ক ট্যাঙ্ক’-খ্যাত নমিতা থাপার এক অদ্ভুত পরিস্থিতির শিকার। সম্প্রতি বদলে ফেলা হয় তাঁর ইনস্টাগ্রাম বায়ো। যেখানে লেখা ছিল, ‘shit*y mother and even shit*ier wife’ (জঘন্য মা এবং তারচেয়ে জঘন্য বউ)। দেওয়া হয়েছিল একটা ইনস্টা স্টোরিও। যা পরে মুছে ফেলা হয়। তাতে লেখা ছিল এই কাজটি তাঁর ছেলেই করেছে। এবার নমিতার তরফে এই ঘটনার দোষ চাপানো হল বাড়ির কাজের লোকের নামে। দাবি করা হল, তাঁর ফোন চুরি করে এই কাজ করা হয়েছে, এবং তারপর ছেলেকে জড়ানো হয়েছে।
নমিতাকে বাড়ির পোশাকে, একটি নীল নাইট গাউনে দেখা গিয়েছিল সেই ছবিতে। মুখে হলুদ রঙের কোনও ফেসপ্যাক মাখা। আর ছবির উপরে গোটা গোটা অক্ষরে লিখে দেওয়া হয়েছিল, ‘এটা নমিতার ছেলে। আমি শুধু বিশ্বকে জানতে চাই যে আপনি টিভিতে দেখে তাঁকে যা মনে করেন, তিনি তেমনটা মোটেও নন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে অনুসরণ করা বন্ধ করুন। যথাসময়ে কারণ ব্যাখ্যা করা হবে।’ আরও পড়ুন: বিউটি উইথ ব্রেন! কোন প্রশ্নের জবাব দিয়ে মিস ইউনিভার্স হলেন আর'বনি গ্যাব্রিয়েল?
এবার পুরো ঘটনা নিয়ে একটি টুইট করলেন নমিতা। আর এর দায়ভার চাপানো হল বাড়ির কাজের লোকের কাঁধে। লেখা হল, ‘ঘৃণা এই পৃথিবীতে যা করে। মানুষকে বিষাক্ত করে তোলে। এক শিক্ষিত চাকর, যাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, আমার ফোন চুরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব ঘৃণাভরা পোস্ট করেছে। পাবলিক ফিগার হওয়ার দাম দিতে হচ্ছে! ক্ষমাপ্রার্থী।’
নমিতা আরও জানিয়েছেন তাঁর চুরি যাওয়া ফোনটি উদ্ধার হয়েছে। এবং সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যারা ‘উদ্বেগের সঙ্গে ফোন করেছিলেন’ তাঁকে। তবে টুইটারের প্রতিক্রিয়াতেই বোঝা যাচ্ছে নমিতার দেখানো যুক্তি তাঁদের একেবারেই মনে ধরেনি। অনেকেরই মত, ছেলেকে আর নিজের ইমেজ বাঁচাতে তিনি ‘গরীব’ কাজের লোকের ঘাড়ে সব দোষ চাপাচ্ছেন।
কারও মতে এসবই পাবলিসিটি স্টান্ট। একজন আবার মস্করা করে লিখেছেন, ‘আপনি সামান্য একটা পোস্ট নিয়ে এত চিন্তিত, আর এই মোবাইল নম্বরের সঙ্গে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি লিঙ্ক করা রয়েছে তা নিয়ে চিন্তিত নন?’
Emcure Pharmaceuticals-এর কার্যনির্বাহী পরিচালক নমিতা থাপার। শার্ক ট্যাঙ্কের অন্যতম বিচারকও। এবারের সিজনে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন পীযূষ বনশল, নমিতা থাপার, অনুপম মিত্তল, অমন গুপ্তা, বিনীতা সিং, অমিত জৈনরা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup