বলিউডের অন্যতম পরিচিত এবং গুণী অভিনেত্রী হলেন শ্বেতা বসু প্রসাদ। ‘মাকড়ি’ ছবির হাত ধরে তাঁর বলিউডের সফর শুরু হয়েছিল। এরপর একাধিক ছবি করেছেন তিনি যা সমালোচকদের থেকে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু তাঁর প্রথম ছবি অর্থাৎ, ৯০ এর দশকের ছেলে মেয়েদের কাছে একরাশ নস্টালিজিয়া, ভয় মেশানো যে ছবি সেই মাকড়ির ২০ বছর পূর্ণ হল। প্রথম ছবি থেকে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন কাজ কিংবা বলিউড নিয়ে নানান বিষয়ে মতামত জানালেন তিনি।
মাকড়ি ছবির ২০ বছর পূর্ণ হল, সেই বিষয়ে অভিনেত্রীর অনুভূতি ঠিক কেমন? ইটাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, 'এটা একটা দুর্দান্ত অনুভূতি। দারুন নস্টালজিক বোধ করছি। আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না যে ২০ বছর কেটে গেল! ক্যামেরা আমায় ভালোবাসে, আর আমি ইন্ডাস্ট্রিকে। এই ইন্ডাস্ট্রি আমায় অনেক কিছু দিয়েছে। যাঁরা বলেন যে বলিউড গুণের কদর করে না তাঁরা আদতে মিথ্যে বলেন। যাঁরা বলেন যে বাইরের লোকজন বলিউডে চান্স পায় না সেটাও ডাঁহা মিথ্যে। আমি রীতিমত বেড়ে উঠেছি এই ইন্ডাস্ট্রি। আর আমি আপনাদের বলছি এই ইন্ডাস্ট্রি কেবলই ভালো গুণের কদর করে। নইলে আজ এত মানুষ এখানে কাজ করতে পারতেন না। এখানে বহু ভালো পরিচালক এবং প্রযোজক আছেন যাঁরা ভালো অভিনেতাদের কাজ দেন। ইন্ডাস্ট্রির বাইরের মানুষদের গোটা বিষয়টা নিয়ে অনেক ভুল ধারণা আছে।'
তিনি তাঁর বেড়ে ওঠা, কাজ নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, 'আমি অত্যন্ত ধন্য মনে করি নিজেকে যে খুব অল্প বয়সেই আমি শাবানা আজমি, বিশাল ভরদ্বাজ, নাসিরউদ্দিন শাহ, গুলজার সাহেবের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। অনেক গুণী মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছি, শিখেছি, ফলে গোটা বিষয়টাই আমার বেড়ে ওঠার পাথেয় হয়ে থেকেছে, আমায় গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। আজ আমার নিজেকে শিল্পী মনে হয়। একই সঙ্গে আমি একজন দর্শক। এই ইন্ডাস্ট্রি আমার বাড়ির মতো।'
শ্বেতাকে দর্শকরা মোটামুটি যে সমস্ত ছবিতে বা প্রজেক্টে দেখা গিয়েছে সেগুলো কম বেশি দর্শক এবং সমালোচকদের থেকে প্রশংসা পেয়েছে। সেখান থেকে যখন অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয় যে তিনি কী দেখে বা কিসের ভিত্তিতে সিনেমা বাছেন, তিনি উত্তর দেন, ' আমি নিজেকে আগে দর্শকদের জায়গায় বসাই। তাঁদের দিক থেকে ভাবার চেষ্টা করি, যে আমি দর্শক হলে কি ছবিটা দেখতাম? কেমন হতো? আমি আমার দর্শকদের কখনই ঠকাতে চাই না। এই বিষয়ে বলি প্রতি বছর গড়ে আমি ১০টা ছবির অফার পাই, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই না করে দিই। আমি আমার কাজের বিষয়ে ভীষণ খুঁতখুঁতে। কথায় বলে সমাজের প্রতিচ্ছবি হল সিনেমা। আর আমি সেই কথা মাথায় রেখেই আমার ছবি বাছি। আমি দেখি না পরিচালক কে, কোন প্ল্যাটফর্মে সেটা মুক্তি পাবে, আমার সঙ্গে কোন বড় তারকা আছেন। আমি শুধু দেখি যে আমি ছবিটা করব কিনা।'