৯০-এর দশকের গায়কদের মধ্যে প্রথম সারিতে থাকবেন শান। অবশ্য এখনও তাঁকে নিয়ে উন্মাদনা লক্ষ করা যায়। অনেকেরই ধারণা, ৫০ বছরে পা রাখা শান যেন সদা তরুণ। দেখে বয়স বোঝারও উপায় নেই কোনও। তবে, একথা আবার মানতে রাজি নন শান নিজে। জানান, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চেহারায় অনেকটাই বদল এসেছে। কথা প্রসঙ্গে নিজের অ্যান্টি এজিং ক্রিম মাখার মজার অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিলেন।
বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়া নিয়ে মস্করায় মজতে দেখা যায় শানকে। সেখানেই গায়ক জানান, ‘আমি যখন এসব কথা শুনি তখন মাঝে মাঝে নিজের পুরনো ছবি বার করে দেখি। আর মনে মনে বলি, ‘মোটেই না, আগের থেকে অনেক বদলে গেছি’। তবে হ্যাঁ লোকের মুখ থেকে এসব কথা শুনলে বয়সটা অনেকটাই কম-কম লাগে। আমি তো মাঝে অ্যান্টি এজিং, অ্যান্টি রিংকেল ক্রিম মাখাও শুরু করেছিলাম। সেভাবে কোনও কাজই হয়নি। উল্টে আমার তেলতেলে ত্বকে একগাদা ব্রণ বেরিয়েছে।’
১৪ বছর পর ফের সঞ্চালনায় ফিরেছেন শান। ‘মিকা দি ভোটি’-র সঞ্চালনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেখানেই মিকাকে বলতে শোনা গিয়েছিল অন্তর থেকে নিজেকে তরুণ মনে করা সবচেয়ে বেশি দরকারি। মনে বয়সের ছাপ না পড়লে তা আসে না চেহারাতেও। ‘মালাইকা আর অর্জুনের দিকে তাকান। বয়স কোনও সমস্যাই নয়। শুধু ফিট থাকলেই হবে না, ভিতর থেকে নিজের যৌবন উপভোগ করতে হবে। নিজেকে সবসসময় তরুণ ভাবতে হবে। এই ভাবনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
বাঙালি গায়ক শান্তনু মুখোপাধ্যায়, ওরফে শানকে দেখা গিয়েছে সিনেমায়। পাপারাও বিয়ালাস পরিচলিত সিনেমা ‘মিউজিক স্কুল’- এ অ্যালবার্ট চরিত্রে দেখা মেলে তাঁর। এই ছবির সংগীতের পাশাপাশি অভিনয়ের দায়িত্বটা আচমকাই কাধে এসে পড়ে। পরিচালকের মনে হয়, সিনেমার চরিত্রটার জন্য শান এক্কেবারে পারফেক্ট। পাপারাও এরপর বিস্তারে চিত্রনাট্য শোনান শানকে, যা মনে ধরে যায় গায়কের। রাজিও হয়ে যান প্রথমবার ক্যামেরার সামনে আসতে অভিনেতা হিসেবে। ছবি শুট করা হয় হিন্দি এবং তেলুগু ভাষায়। তবে ডাব করা হয় তামিল ভাষাতেও। শান ছাড়াও ছবিতে ছিলেন শ্রিয়া শ্যারন, শরমন জোশি, প্রকাশ রাজ। ১১টি গান নিয়ে এই মিউজিক্যাল ড্রামা-টি সমালোচকদের থেকে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।