আগের অনেকটা ভালো আছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। মাঝেমধ্যেই চোখ খোলার চেষ্টা করছেন। চিকিত্সকদের সব নির্দেশে সাড়া দিচ্ছেন। চলছে মিউজিক থেরাপি। মূলত পছন্দের রবীন্দ্র সংগীতই শুনছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। করোনামুক্ত হওয়ার পর থেকে দ্রুত শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। রবিবার চিকিত্সরা জানিয়েছেন তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্র স্বাভাবিক রয়েছে, অনান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলিও স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে।
চিকিত্সক অরিন্দম কার জানান, ‘উনি ধীরে ধীরে উন্নতি করছেন। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে এবং বাড়ি ফিরে যেতে এখনও অনেকটা পথ বাকি রয়েছে। করোনা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নেই ওঁনার।শরীরে ওঁনার অক্সিজেনের মাত্র ৯৬ থেকে ৯৯ শতাংশের মধ্যে থাকছে- তাই আলাদা করে খুব বেশি বাহ্যিক সাপোর্ট দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না’।
তিনি যোগ করেন, ‘সৌমিত্রবাবুর তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থাটাই আমাদের একটু ভাবাচ্ছে। উনি তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকলেও কিন্তু ডাকলে সাড়া দিচ্ছেন। মৌখিক কোনও নির্দেশ দিলে সেটা পালন করছেন। মানুষজনকে চেনার চেষ্টা করছেন, ভাঙা ভাঙা কথাও বলছেন। আসলে ওঁনার বয়স এবং পূর্বের স্বাস্থ্যসমস্যাটাই মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে’।
সৌমিত্র কন্যা পৌলমী বসু জানিয়েছেন, ‘বাবা সুস্থ হচ্ছে, ওঁনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক কাজ করছে। তবে ডাক্তারবাবুরা জানিয়েছে ওঁনার স্নায়ুসংক্রান্ত সমস্যাটা উন্নতি হওয়া দরকার’।
গত ৫ অক্টোবর করোনা আক্রান্ত হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। পরের দিনই তাঁকে বেলেভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনদিনের মাথায় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি অস্বাভাবিক বিগড়ে গেলে আইটিইউতে স্থানান্তরিত করতে হয়েছিল সৌমিত্র বাবুকে। ঠিক ১৪ দিনের মাথায় করোনাকে হারিয়ে দেন ফেলুদা। আপতত নন কোভিড- আইটিইউতে রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।