বক্স অফিসে সফল দেবের ক্রিসমাস রিলিজ ‘প্রধান’। ইতিমধ্যেই ৫০ দিন পার করে ফেলেছে এই ছবি। সোমবার সেই সাফল্য় উদযাপন করল টিম ‘প্রধান’। দর্শকদের থেকে অঢেল ভালোবাসা কুড়িয়েছে পরিচালক অভিজিৎ সেনের এই ছবি। পুরোপুরি সফল মিঠাইরানি সৌমিতৃষার সিলভার স্ক্রিন ডেবিউ।
প্রধানের সাক্সেস পার্টিতেও অল ব্ল্যাক লুকে ঝলমল করলেন সৌমিতৃষা। মিঠইরানির পরনে কালো রঙের সেমি-ফর্ম্যাল পোশাক। প্যান্ট স্যুটের উপর ঝলমলে কালো জ্যাকেট। দেবের পাশে হাসিমুখে ধরা দিলেন। মিডিয়ার সঙ্গে চলল জমিয়ে আলাপচারিতা, কেক কাটার পর্ব। তার মাঝেই মন খারাপের কথা শেয়ার করেন নায়িকা। জানালেন, টানা ১১ দিন তাঁকে ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে দমবন্ধ হয়ে আসছিল তাঁর।
কাজের সূত্রে হামেশাই ছুটে বেড়ান সৌমিতৃষা। তবে দিন কয়েক আগেই এক ফটোশ্য়ুটের ফাঁকে পায়ে বেজায় চোট পান সৌমিতৃষা। পায়ের নখ উঠে গিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড। বাড়িতে দিনে তিনটে পেইন কিলার খেয়েছিলেন। তবুও অসহ্য যন্ত্রণা। এখন ভালো আছেন সৌমিতৃষা, তবে মন আনচান করছে।
রক্তমাখা পায়ের ছবি শেয়ার করে কিছুদিন আগেই নিজের চোখের খবর ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। পাঁচতারা হোটেলে ফটোশ্যুটের সময় সিঁড়ি দিতে নামতে গিয়ে আহত হন নায়িকা। রক্তাক্ত অবস্থাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা সেরে শ্য়ুটিং শেষ করেন। কিন্তু বাড়ি ফিরেই বেহাল দশা। জ্বর চলে এসেছিল তাঁর। তারপর থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে গৃহবন্দি।
প্রধানের সাকসেস পার্টি আর কয়েকদিন আগে হলে হয়ত হাজিরই হতে পারতেন না সৌমিতৃষা। দমবন্ধ ভাব কাটাতে মায়ের সঙ্গে একটা ছোট্ট আউটিং সেরে ফেলেছেন অভিনেত্রী। এদিন প্রধানের সাফল্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বললেন, তাঁর দায়িত্ব আরও বাড়ল অভিনেত্রী হিসাবে। সৌমিতৃষার কথায়, ‘আমার কাঁধে একটা দায়িত্ব চলে আসে। যাঁরা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন যাতে তাঁদের মুখরক্ষা করতে পারি। দেবদা-র সঙ্গে কাজের পর প্রেসার তো চলে এল।’
রুমিকে দর্শক এত ভালোবাসা দিয়েছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ অভিনেত্রী। বললেন, 'মিঠাইয়ের পর মিঠি চরিত্র হয়ে ওঠতে ভয় পেয়েছিলাম। একই সিরিয়ালে অন্য একটা চরিত্র। এখন দর্শক রুমিকেও এত ভালোবাসা দিয়েছে। খুব ভালো লাগছে। মিঠাই থেকে রুমি হয়ে ওঠার জার্নিটায় এখন আমি নিজেকে সফল বলতে পারি। দেবদা ওয়ান্ডারফুল কো-অ্যাক্টর। আমার প্রথম সিনেমা ৫০ দিন… আমি প্রচণ্ড খুশি'।