বড়দিনে মুক্তি পেয়েছে ‘টনিক’। করোনা আতঙ্কের মাঝেও দেব-পরাণ জুটির এই ছবি মন জয় করে নিয়েছে বাঙালি দর্শকদের। ছবির নামের পাশে অধিকাংশ হলেই হাউজফুল বোর্ড। ছবির প্রচারে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে না রাজ দেব। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিচালক অভিজিত্ সেন-কে নিয়ে নিজে আগেই ঘুরে গেছেন দাদাগিরির মঞ্চে। চলতি সপ্তাহে এই ছবির সঙ্গে যুক্ত আরও একঝাঁক কলাকুশলীরা এই গেম শো-তে এসে প্রচার পর্ব সেরে গেলেন। ছিলেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, বিশ্বনাথ বসু, সংগীতশিল্পী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, গীতিকার শ্রীজাত সহ আরও অনেকে। গান, আড্ডা, হাসিঠাট্টায় জমজমাট ছিল দাদাগিরির শনিবারের পর্ব।
এদিন স্বভাবসিদ্ধ মেজাজে কাঞ্চনকে নিয়ে রসিকতা করতেও ছাড়লেন না সৌরভ। দাদার সামনে এক্কেবারে মুখবন্ধ কাঞ্চনের। দাদার গুগলির উত্তর দিতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে তারকা বিধায়ক। এদিন শুরুতেই ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’-র প্রসঙ্গ তোলেন সৌরভ। বলেন, ‘এতদিন আমরা জানতাম এমএলএ ফাটাকেষ্ট। এবার এসেছেন এমএলএ কাঞ্চন’।
এরপরই সৌরভ বলেন, ‘আমি অভিজিত বাবু (টনিকের পরিচালক)-র কাছে জানতে চাইব এমন সোজাসাপটা ভালোমানুষের নাম জালিদা কী করে হয়?’ এরপ বডিগার্ড রাখা নিয়েও কাঞ্চনকে খোঁচা দেন সৌরভ। বলেন, ‘আগে কাঞ্চন এমনি ঘুরত এখন সঙ্গে মেশিন থাকে’। এরপরই জিভ কেটে কাঞ্চনের দাবি, ‘ওটা সরকারি নিময়, না হলে আমার এই দেহে কোনও দেহরক্ষীর প্রয়োজন নেই’।
পরে বিষয়টা স্পষ্ট করে সৌরভ ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘এতে রাজনীতির গন্ধ খুঁজবেন না, তবে একই বছর কাঞ্চন এমএলএ, আর সেই বছরই আবার ও জালি। মানে টনিক ছবিতে জালি চরিত্রে অভিনয় করেছে’।
হাসি সামলে কাঞ্চন বলেন, ‘দুটোর মধ্যে একটা মিল কিন্তু রয়েছে। আমরা জনসেবা করি ক্যামেরার সামনে, সেখানে মানুষের মুখে আমি হাসি ফোটাই। আবার অন্যরকম জনসেবা করি, সেখানে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের মুখে হাসি ফোটনার চেষ্টা করি। এইটুকু জেনো থাকে’।
টনিক ছবিতে কাঞ্চনের অভিনীত চরিত্রের নাম কালীচরণ। সে সবরকম সার্টিফিকেটকের নিমেষে নকল বানিয়ে দিতে পারে। তাই লোকমুখে তার নাম হয়ে গিয়েছে ‘জালিচরণ’। সেটা জানবার পর কাঞ্চনকে নিয়ে মশকরা করবার লোভ সামলাতে পারেননি সৌরভ। দর্শকরাও হেসেখুন দাদার কাণ্ড দেখে।