রবিবারের দাদাগিরির এপিসোডে বসেছিল তারকাদের মেলা। পারিয়া ছবির প্রচারে এসেছিলেন তথাগত মুখোপাধ্যায় ও বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ছিলেন জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পূর্ণা লাহিড়ি, পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
খেলার ফাঁকেই রাজনীতি নিয়ে গুগলি ভরা প্রশ্ন করলেন সৌরভকে জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আমার দুটো প্রশ্ন আছে। ধরো তুমি মন্ত্রী হলে…’ থামিয়ে দিয়ে সৌরভ বলে ওঠেন, ‘হবো না কেনওদিন’। তাতে জয়জিৎ বললেন, ‘আরে সে তো জানি। আমি জানি তুমি কীভাবে এসব ট্যাকেল করো। তাও ধরো তুমি হলে। ক্রীড়া মন্ত্রী ছাড়া কোন দপ্তরের মন্ত্রী হওয়ার শখ তোমার?’
এবার একটু ভেবে নিয়েই বাংলার মহারাজের জবাব, ‘এটা আলাদা বলি?’ দ্বিতীয় প্রশ্নটাও জয়জিতের রাজনীতি নিয়েই।
অভিনেতা জানতে চান, ‘ধরো কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তোমায় ডাকল। কিন্তু তোমার যাওয়ার ইচ্ছে নেই। তাহলে?’ এই প্রশ্নে সটান জবাব দিলেন দাদা। বললনে, ‘আমি পারলে যাই। রাজনৈতির প্ল্যাটফর্ম না হলেই যাই। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ডাকলে সমস্যা কোথায়। আমি আর তুমি এক মঞ্চ শেয়ার করছি। আমি অভিনেতা হয়ে যাইনি, তুমি খেলোয়ার হয়ে যাওনি। রাজনীতির মঞ্চেও তেমনটাই থাকে। রাজনীতিবিদ থাকে, আমি খেলোয়ার হিসেবেই থাকি। পলিটিশিয়ান খেলোয়ার হয় না, আমিও পলিটিশিয়ান হই না। জানি না তা সত্ত্বেও সবাই কেন এত লাফালাফি করে কোথাও গেলে।’
দাদাগিরির মঞ্চে সৌরভের গলায় শোনা গেল জয়জিতের বহুল প্রশংসা। জানালেন, অভিনেতা আর তাঁর ছেলের ট্যুরের ছবি দেখতে খুব ভালোলাগে সৌরভের। বাবা হিসেবে নিজের সঙ্গেও করেন তুলনা।
দাদাগিরির সেই এপিসোড জিতেও নিলেন জয়জিৎ। খেলছিলেন তিনি জলপাইগুড়ির হয়ে। প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সেটা তাঁর ‘শ্বশুরবাড়ির এলাকা’। ট্রফি হাতে পেয়েই সৌরভকে জানালেন, ‘এতবার এসেছি। এই প্রথম জিতলাম।’ শুধু ট্রফিই ঘরে তুললেন না জলপাইগুড়ির স্কোর বোর্ডে জুড়ে দিলেন ৪২ নম্বর। ফার্স্ট রানার আপ হলেন রশ্মি।
এর আগেও দাদাগিরির মঞ্চে রাজনীতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সৌরভকে। বাঘাযতীন মুক্তির আগে তৃণমূলের সাংসদ, অভিনেতা দেব এসেছিলেন দাদার সঙ্গে খেলতে। আর প্রশ্ন করেছিলেন, সৌরভ দেশের প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী হন তাহলে তিনি কোন বদল আনবেন? তাতে জবাব এসেছিল, ‘আমাদের সমাজে অনেকেই বলেন, আচ্ছা করে দাও। এই করে দাও শব্দটা ঠিক নয়। আসলে কাউকে কিছু করে দেওয়াটা কথা নয়। কারণ এটা মানুষের অধিকার। সেটা তাঁর প্রাপ্য।’ তবে তিনি যে রাজনীতিতে আসতে একেবারেই ইচ্ছুক নন, সেটাও জানিয়ে দেন স্পষ্ট করে।