বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Sovan-Baisakhi: ‘শোভন এই মাঠের পুরোনো খেলোয়াড়, আমি তাঁর শিষ্যা’, সিঁদুরদান প্রসঙ্গে অকপট বৈশাখী

Sovan-Baisakhi: ‘শোভন এই মাঠের পুরোনো খেলোয়াড়, আমি তাঁর শিষ্যা’, সিঁদুরদান প্রসঙ্গে অকপট বৈশাখী

শোভন-বৈশাখী 

Sovan-Baisakhi: সমাজের চোখ রাঙানির তোয়াক্কা না করে বৈশাখীর হাত ধরেছেন বিবাহিত শোভন চট্টোপাধ্যায়। আফসোস রয়েছে? অপকট জবাব দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। 

শোভন-বৈশাখী যেন এ যুগের লায়লা-মজনু! তাঁদের প্রেম নিয়ে চর্চার শেষ নেই। ‘বিবাহিত’ শোভনের সঙ্গে একছাদের তলায় থাকা নিয়ে নানান কটূক্তির মুখে পড়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সমাজের চোখ রাঙানিকে পাত্তা দেননি দুজনেই। ভালোবেসে পরস্পরের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা মন্ত্রী শোভনের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও পড়ুন-১৪ বছর আগে প্রথম দেখা! বৈশাখীর 'যৌবনে' চোখ আটকায় শোভনের, আর বান্ধবী মুগ্ধ কীসে?

বৈশাখীর দিকে আঙুল উঠলে রুখে দাঁড়িয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাতে বিন্দুমাত্র আফসোস নেই মেয়রের। বৈশাখীকে যখন কুরুচিকর আক্রমণ করা হয়েছে, সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন শোভন, নিজের ইমেজের পরোয়া করেননি। ভয় লাগেনি? মনে হয়নি আরেকটু বুঝে পা ফেলা উচিত? মাস কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান- ‘রুচিহীন কথা যারা বলেছে, তাদের কথা ভেবে তো… কাকে কান নিয়ে গেল বলে তো আর কাকের পিছনে ছুটব না। আমি কানে হাত দিয়ে দেখব। যে সমস্ত রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা সব ভেবে চিন্তে করে, আমি সেই দলে নেই। আমি হিপোক্রিট নই। আমি যে কাজ করেছি, যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেটা স্বীকার করার মতো সাহসিকতা থাকা উচিত। আর সৎভাবে রাজনীতি করতে গেলে তো সেই সৎ সাহস আরও বেশি করে থাকা উচিত’।

খাতায়-কলমে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়নি শোভনবাবুর। মামলা দীর্ঘদিন ধরে কোর্টে বিচারাধীন। অথচ ২০২১ সালে দুর্গাপুজোয় মায়ের সামনেই বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই বিস্ফোরক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউজ ১৮ বাংলাকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে শোভন-বান্ধবী বলেন- ‘চমক দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে সেই ফ্রেম ছিল না, বরং আমাদের কেউ কেউ চমকাতে গিয়েছিল। আসলে লোকে আমাদের নিয়ে একটু খেলাধূলা করতে চেয়েছিল। এটা বোঝা দরকার শোভন এই মাঠের পুরোনো খিলাড়ি, আর আমি তাঁর শিষ্যা’। 

হাসিমুখে বৈশাখী দেবী যোগ করেন- ‘একজন সিঁদুরের কৌটো এগিয়ে দিয়ে বলেছিল দেখি ওকে পরিয়ে দাও তো। সে হয়ত ভেবেছিল বাকিদের মতো শোভনও মেপেঝুপে নিজের ইমেজের কথা ভেবে পিছিয়ে আসবে। এবং লজ্জিতবোধ করবে। সেই মুহূর্তটা বাংলার মানুষ দেখবে। কিন্তু শোভন তাঁকে গোল দিয়ে দেয়। আর একটা ইতিহাস তৈরি হয়ে গেল’। বৈশাখীর কথায়, লোকের কাছে সিঁদুরদানের মুহূর্তটা চমক হলেও সেটা তাঁদের জীবনের খুব সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত। 

 

বন্ধ করুন