বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Jab Sovan met Baisakhi: ১৪ বছর আগে প্রথম দেখা! বৈশাখীর 'যৌবনে' চোখ আটকায় শোভনের, আর বান্ধবী মুগ্ধ কীসে?

Jab Sovan met Baisakhi: ১৪ বছর আগে প্রথম দেখা! বৈশাখীর 'যৌবনে' চোখ আটকায় শোভনের, আর বান্ধবী মুগ্ধ কীসে?

শোভন-বৈশাখীর অটুট প্রেম! 

Jab Sovan met Baisakhi: জব শোভন মেট বৈশাখী! ২০০৯ সালে প্রথম দেখা দুজনের। বৈশাখী কোন শাড়ি পরেছিলেন তা আজও মনে গেঁথে রয়েছেন প্রাক্তন মেয়রের। মান্না দে-র গানের লাইন ধার করে বললেন-'তোমার দেহের ভঙ্গিমাটি যেন বাঁকা সাপ পায়ে পায়ে ছড়িয়ে রাখো যৌবনেরই ছাপ’।

তাঁরা যাই করেন না কেন, সেটাই খবর! তাঁদের কথায়, পরস্পরের পরিপূরক তাঁরা। সমাজের চোখরাঙানির পরোয়া না করে বিবাহিত শোভনের সঙ্গে সংসার করছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দাম্পত্যের শেকল থেকে এখন মুক্ত বৈশাখী। তাঁদের পোশাকের মতো মনের রঙও এক! আরও পড়ুন-শোভন যদি কোনওদিন বদলেও যায়…’, প্রভাবশালী বলেই সম্পর্ক? কটাক্ষের জবাব বৈশাখীর

শোভন-বৈশাখীর সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েক বছর কম আলোচনা হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু জোর গলায় বৈশাখী বুঝিয়ে দিয়েছেন শোভন-ময় তাঁর জীবন। একমাত্র মেয়ে মেহুলকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন তাঁরা। রাজ্যের মন্ত্রী তথা মেয়রের (বর্তমানে প্রাক্তন) সঙ্গে কলকাতার নামী কলেজের অধ্যাপিকার বিশেষ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা গত কয়েক বছর ধরেই ডানা মেলেছে মিডিয়ায়। বিবাহিত শোভনের নামের সিঁদুরেই এখন সিঁথি রাখান বৈশাখী। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কের শুরুটা কবে? প্রথম কবে বৈশাখীতে আটকেছিল শোভনের চোখ? সেই সব গোপন কথা ফাঁস করেছেন জুটি। 

খুল্লমখুল্লা রোম্যান্সে মজে দু'জনে। নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখী দেবী বলেন-'প্রথম যেদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি, আমার এক সাংবাদিক বন্ধু বলেছিল খুব মন দিয়ে শোভনদার হাত দুটো দেখবি। আমি বলি, হাত মানে? জবাব এল- এক হাতের ব্রেসলেট আর অপর হাতে ঘড়ি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকজন বলে উঠল- আর উত্তম কুমারের মতো গিলে করা পাঞ্জাবিটা দেখব না? আমি কিন্তু সেদিন ওইগুলো স্টাডি করতেই গিয়েছিলাম…. অফিসের শেষবেলাতেই দেখা, প্রায় ৪টে বাজে। সত্যিই ওইরকম সাজে আমি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে দেখিনি'।

কোন চোখ দিয়ে দেখছেন, আর কোন চোখ দিয়ে ব্যাখা করবেন সেটা আপেক্ষিক। বৈশাখীকে কিন্তু আমি আজ থেকে চিনি এমনটা নয়। দীর্ঘদিন ধরে আমি বৈশাখীকে জানি। বৈশাখীর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা… একবার শাড়ি বার করতে করতে, আমি বললাম তুমি সেদিন এই শাড়িটা পরেছিলেন না। তখন ও খুব অবাক হয়ে যায়, বলল তোমার শাড়িটার কথাও মনে আছে'। শোভনের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বৈশাখী বলেন- ‘আমি ভাবলাম বাবা, লোকটার কী ফটোজেনিক মেরোরি, সৌভাগ্যবশত ওইদিনের একটা ফটো আমার কাছে ছিল আমি মিলিয়ে দেখলাম হ্যাঁ, সেম শাড়ি। আমার মনে ছিল না’। 

প্রথম আলাপ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানান শোভন। বলেন- ‘সালটা ২০০৯। একটা মিউনিসিপ্যালটির বডি তৈরি হচ্ছিল, যে কারা কোন দায়িত্ব নেবে। হঠাৎ করে দেখি দু-চার ভদ্রমহিলা পিকনিক করছে, তাদের মধ্যে কেউ এগিয়ে আসছে। গানের লাইন দিয়ে বলব- তোমার দেহের ভঙ্গিমাটি যেন বাঁকা সাপ পায়ে পায়ে ছড়িয়ে রাখো যৌবনেরই ছাপ’। পাশে বসা বৈশাখী ততক্ষণে লাজে রাঙা। বৈশাখীর সঙ্গে ম্যাচিং করে পোশাক করাকে ‘রেসিপ্রোকাল রেসপন্স’ বলে উল্লেখ করেন শোভন। কে-কী বলল তাতে মোটেই চিন্তিত নন তাঁরা, সবটাই মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল মনে করেন প্রাক্তন মেয়র। 

 

 

 

বন্ধ করুন