কে বিনোদিনী হিসেবে উপযুক্ত, বিনোদিনী রোগা ছিলেন নাকি মোটা এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তর্ক জমে উঠেছে। একদিকে আছেন শ্রীলেখা মিত্র, আরেকদিকে আছেন রামকমল মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, রুক্মিণী মৈত্র। এবার সেই তর্ক, উত্তর-প্রতি উত্তরের ঝামেলা এড়াতে এবার ফেসবুককেই বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিল এক পক্ষ। বুধবার সকালবেলা একটি পোস্ট করে শ্রীলেখা জানান যে তিনি ফেসবুক থেকে সাময়িক বিরতি নিচ্ছেন। এত 'টক্সিসিটি' নিতে পারছেন না তিনি।
১৩ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে বিনোদিনী: এক নটীর উপাখ্যান এর প্রথম লুক। বিনোদিনীর চরিত্রে দেখা যাবে রুক্মিণী মৈত্রকে। তাঁকে এই প্রথম লুকের ছবিতে একটি লাল পাড় নীল শাড়ি পরে থাকতে দেখা যায়। ছবিটি প্রকাশ্যে আসার পরই শ্রীলেখা তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করেন রুক্মিণীকে ব্যঙ্গ করে। তিনি জানতে চান বিনোদিনী কি আদতে এত রোগা ছিলেন? সেই থেকেই বিতর্ক শুরু।
শ্রীলেখা এমন মন্তব্য করার পর সুদীপ্তা চক্রবর্তী কিন্তু তাঁর ছাত্রী রুক্মিণীর পাশেই দাঁড়ান। তিনি রুক্মিণীর উদ্দেশে বলেন 'এই ছবির প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তুমি কোনও চেষ্টা বাকি রাখোনি। এখন কেবল পরিচালকের কথা শুনে ক্যামেরার সামনে জাদু দেখাতে হবে।' এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য সুদীপ্তা রুক্মিণীকে ওয়ার্কশপ করিয়েছেন এই ছবির জন্য।
বিনোদিনী রোগা ছিলেন কিনা এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার পর এই ছবির প্রযোজক, পরিচালক দুজনেই শ্রীলেখাকে উত্তর দিয়েছেন। প্রযোজক অরিত্র দাস অভিনেত্রীকে উত্তর দিয়ে বলেন, 'যিনি রোগা বিনোদিনী নিয়ে ভীষণই চিন্তিত তাঁর উদ্দেশে একটাই প্রশ্ন যাঁরা এর আগে পর্দায় বিনোদিনী হয়েছেন তাঁরা কি খুব মোটা ছিলেন কেউ?' এই প্রসঙ্গে তিনি দীনেন গুপ্তর ছবিতে দেবশ্রী রায়, গুলজারের ছবিতে তেরাহ পানহে ছবিতে হেমা মালিনীর কথা বলেন। একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, 'অজয় দেবগনকে কি ভগত সিংয়ের মতো দেখতে? সুশান্ত সিং রাজপুতকে কি ধোনির মতো দেখতে? অরুন্ধতী দেবীকে কি ভগিনী নিবেদিতার মতো দেখতে?' শুধু তাই নয় তিনি জিকে দিদি শ্রীলেখাকে তাঁর সাধারণ জ্ঞান বাড়ানোর কথাও বলেন। এরপর শ্রীলেখা তাঁর অভিনয় করা বিনোদিনীর চরিত্রের একাধিক ছবি পোস্ট করেন। এবং একই সঙ্গে বলেন তাঁর মাথায় কোনও রামকমলের হাত নেই। জানান তিনি কেবল সাধারণ জ্ঞান বাড়াতে চান।
ফলে দুই পক্ষই একে অন্যকে কড়া টক্কর দিচ্ছিলেন যুক্তি এবং প্রতি যুক্তিতে। চলছিল বাকযুদ্ধ। কিন্তু এবার তাতে ইতি টানতে চাইলেন অভিনেত্রী। তিনি এই গোটা বিষয় থেকে দূরে থাকতে চান বলেই জানান, ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন।
অভিনেত্রী ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে লেখেন, 'ফেসবুক থেকে একটি সাময়িক বিরতি নিচ্ছি। পেজ অ্যাক্টিভ থাকবে। আমার জীবন এবং ফ্রেন্ডলিস্ট দুই জায়গা থেকেই টক্সিক লোকজনকে বের করে, পরিষ্কার হয়ে ফিরে আসব। টক্সিসিটি থেকে মুক্তি চাই।'
বিনোদিনী বাকযুদ্ধ থামলেও অন্যদিকে কিন্তু ইতিমধ্যেই এই ছবির শ্যুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে।