রবীন্দ্রনাথ যতটা ভারতের,ততটাই বাংলাদেশের।বিশেষত বাঙালির রবীন্দ্র চেতনায়,রবীন্দ্র ভাবনায় কাঁটাতার কোনওদিন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তাই তো রবীন্দ্রজয়ন্তীকে ঘিরে দুই দেশের উদ্দীপনার ছবিটা রবাবরই এক। এই বছর লকডাউনের জেরে বন্ধ ঘটা করে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন,কিন্তু ঘরে বসেই বাঙালি স্মরণ করছে তাঁদের প্রাণের রবিকে।
পিছিয়ে ছিলেন না সৃজিত পত্নী মিথিলাও। ২৫ বৈশাখ ঢাকা থেকেই রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন অভিনেত্রী,সঞ্চালিকা রফিয়ত রশিদ মিথিলা। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভার্চুয়াল রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করেছেন মিথিলা। যেখানে ১৫ বছর পর নাচতে দেখা গেল এই শিল্পীকে। মিথিলার নাচ দেখে মুগ্ধ সৃজিত। পত্নীর এই ট্যালেন্ট সম্পর্কে বোধহয় বিশেষ অবগত ছিলেন না দ্বিতীয় পুরুষ পরিচালক। তাই মিথিলার রবীন্দ্র-নৃত্যের ভাইরাল ভিডিয়ো শেয়ার করে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘মাইয়া দেহি এইডাও পারে’ (মেয়ে দেখছি এইটাও পারে)।
যদিও মিথিলার এই নাচ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেই আপতত চোখ জুড়াচ্ছেন সৃজিত।কারণ লকডাউনের জেরে আপতত এই নবদম্পতি দিন কাটাচ্ছেন ভিন্ন দেশে।করোনায় জেরে দু'মাস সদ্যবিবাহিতা পত্নীর সঙ্গে দেখা হয়নি সৃজিতের। ফেব্রুয়ারির শেষদিন কলকাতায় রিসেপশন পর্ব সেরে পরেরদিনই দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে গিয়েছিলেন সৃজিত, লকডাউন শুরুর আগেই দেশে ফেরেন তিনি। তারপর থেকেই কলকাতায় আটকে পরিচালক। অন্যদিকে ঢাকায় রয়েছেন মিথিলা।
নাচের প্র্যাক্টিস না থাকলেও, মিথিলা কিন্তু প্রশিক্ষিত নৃত্যশিল্পী।'মোর ভাবনারে কী হাওয়ায় মাতালো' রবি ঠাকুরের এই গানেই নাচলেন মিথিলা। টুইট বার্তায় মিথিলা জানিয়েছেন তাঁর শাশুড়ি সুমিতাদেবীর মায়ের শ্রীময়ী ক্লাবে ভারচুয়াল অনুষ্ঠানের জন্যই এই নৃত্য পরিবেশন করেছেন তিনি। ১৫ বছর পর নাচায় একটু ভয়ে ছিলেন ঠিকই, তবে সকলের এই নাচ পছন্দ হবে বিশ্বাসী মিথিলা।
বোঝাই যাচ্ছে লকডাউনে শাশুরির পাশে না থাকলেও তাঁর আবদার মেটানোর কোনও সুযোগ হাতছাড়া করছেন না মিথিলা। মুখুজ্জে বাড়ির বৌমা বলে কথা!
বোঝাই যাচ্ছে লকডাউনে শাশুরির পাশে না থাকলেও তাঁর আবদার মেটানোর কোনও সুযোগ হাতছাড়া করছেন না মিথিলা। মুখুজ্জে বাড়ির বৌমা বলে কথা!