ক্রিসমাসে মুক্তি পাচ্ছে না শুভশ্রী-পরমব্রতর ‘হাবজি গাবজি’, জেনে নিন কারণ

‘দর্শক হল বিমুখ’, এই কারণেই ছবির মুক্তি পিছিয়ে দিলেন পরিচালক-প্রযোজক রাজ চক্রবর্তী।

মুক্তি পিছোল হাবজি-গাবজির 

আশঙ্কা ছিল, অবশেষে সেটাই সত্যি প্রমাণিত হল। ক্রিসমাসে মুক্তি পাচ্ছে না শুভশ্রী-পরমব্রত জুটির ‘হাবজি গাবজি’। রবিবার ঘোষণা করলেন ছবির পরিচালক-প্রযোজক রাজ চক্রবর্তী। এদিন টুইটারে রাজ জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দর্শক এখনও হল বিমুখ, তাই বাধ্য হয়েই ছবির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি লেখেন, ‘প্যানডেমিক সিচুয়েশন এখনও আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি নি। দর্শক এখনও হল বিমুখ। তাই হাবজি গাবজির এই মুহুর্তে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে, ভয় কাটিয়ে, নিয়ম মেনে শীঘ্রই দেখা হবে থিয়েটারে। সঙ্গে ‘হাবজি গাবজি’ ও ‘ধর্মযুদ্ধ’।

মূলত করোনা আবহে মুশকিল পরিস্থিতির মুখোমুখি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি। বলিউড থেকে আঞ্চলিক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি পরিস্থিতি আলাদা নয় কোনও জায়গাতেই। প্রায় মাস তিনেক শ্যুটিং বন্ধ থাকার পর নিয়মবিধি মেনে কাজ শুরু হয়েছে, তালাবন্ধ হল গত অক্টোবরে খুলেছে সাত মাস বন্ধ থাকার পর। তবে পরিস্থিতি বদলেছে কি? কারণ পরিসংখ্যান স্পষ্ট বলছে দর্শক হলমুখী হচ্ছেন না। এমনতিতেই দর্শকাসনের সর্বাধিক ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রির কথা সরকারি নিয়মে বলা হয়েছিল। তবে দেখা যাচ্ছে একাধিক ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আসনও ভরছে না। যার জেরে গত মাসেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে কলকাতা ও শহরতলির একাধিক সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটার। এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝে হাবজি গাবজি'র মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ চক্রবর্তী। ক্রিসমাসে কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন ঘিরেও ধোঁয়াশা রয়েছে। 

খুদেদের পুরো জগতটাই এখন স্মার্টফোন বা কম্পিউটার স্ক্রিনে আটকে গিয়েছে। কর্মব্যস্ত জীবনে শিশুদের ব্যস্ত রাখতে কিংবা তাঁদের মন জুগিয়ে চলতে বাবা-মায়ের সাত পাঁচ না ভেবেই সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবা্ইল ফোন। নেটমগ্ন শৈশবের সেই ভয়ঙ্কর গল্পই উঠে আসবে হাবজি গাবজিতে। 

এই ছবিতেই প্রথমবার জুটি বেঁধেছেন পরমব্রত ও শুভশ্রী। অন্যদিকে প্রলয়ের পর ফের রাজের পরিচালনায় পরমের অভিনয়। শুভশ্রী-পরমব্রতর ছেলের ভূমিকায় ছবিতে অভিনয় করেছেন স্যমন্তক দ্যুতি মৈত্র। আর স্যমন্তকের ছোটবেলার চরিত্রটিতে অভিনয় করেছে কাঞ্চন মল্লিকের ছেলে আয়ুষ মল্লিক।

হাবজি গাবজির চিত্রনাট্য লিখেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। ছবিতে অভিনয় করতেও দেখা যাবে তাঁকে। মিউজিকের দায়িত্বে রয়েছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। আপতত এই ছবি রুপোলি পর্দায় দেখতে অপেক্ষা নতুন বছরের।