চারদিকে এখন উৎসবের মরশুম। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শেষ হল মাত্র এক সপ্তাহ আগেই। ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীপুজো চলে গিয়েছে, হয়ে গিয়েছে অবাঙালিদের করওয়া চৌথ। কিন্তু আজকাল কি আর উৎসবের বাঙালি অবাঙালি হয়? সেই কথা মনে রেখেই হিন্দিতে অনুরাগীদের করওয়া চৌথের শুভেচ্ছা জানালেন জি বাংলার রান্নাঘরের সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু একি! শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে চরম ট্রোল্ড হলেন কেন তিনি?
সুদীপার করওয়া চৌথের শুভেচ্ছা
করওয়া চৌথের দিন সুদীপা চট্টোপাধ্যায় একটি ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে সেটা বিজয়া দশমীর দিন সিঁদুর খেলার ছবি। তাঁর পরনে সাদা লাল পাড় শাড়ি। সারা মুখে সিঁদুর লেগে। এই ছবিটা পোস্ট করে সুদীপা লেখেন, 'করওয়া চৌথ কী হার্দিক শুভ কামনায়ে। সাদা সুহাগন রহে। মাঙ্গ কী সিঁদুর সাদা অক্ষয় রহে, ইয়ে কামনায়ে হ্যায়। আপকা অউর মেরা সুহাগ কভি না উজরে। মা পার্বতী, মহাদেব অউর গণপতিজি কী কৃপা সাদা বনে রহে।' সুদীপা এটি পোস্ট করার পরই শুরু হয়েছে ট্রোল।
আরও পড়ুন: '১৭ নম্বরের পর এটা ১৮...' 'তুমি আশেপাশে থাকলে'র আগে এত অফার কেন ফিরিয়েছিলেন রোহন?
আরও পড়ুন: গুটি গুটি পায়ে ৫০০ পর্ব পার অনুরাগের ছোঁয়ার, বিশেষ দিনে কাদের সঙ্গে কেক কাটলেন সূর্য-দীপারা?
কী বলছেন লোকজন?
সুদীপার পোস্টে এসে লোকজন তাঁকে রীতিমত তুলোধনা করে যাচ্ছে। তিনি কেন অবাঙালি উৎসব পালন করেছেন, কেন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার জন্য শুনতে হয়েছে নানা কটূ কথা। এক ব্যক্তি লেখেন, 'ওটা আর রান্নাঘর নেই, গুটখাবিলাস হয়ে গিয়েছে।' আরেকজন লেখেন, 'লজ্জা করে না বাঙালি হয়ে বাংলার কালচার না মেনে অবাঙালি সাজার চেষ্টা করছেন। আপনাদের জন্যই আজকে বাংলার, বাঙালির এই দশা।' কেউ আবার লেখেন, 'এসব সংস্কৃতি আমাদের নয়। আমরা পূর্ণিমার চাঁদ দেখি, চাঁদ দেখে বরের মুখ দেখি না।' ‘আপনি আবার কবে থেকে অবাঙালি হয়ে গেলেন? এই দুদিন আগেও তো বাঙালি অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের বউ ছিলেন,’ মন্তব্যে অন্য আরেক নেটিজেনের। কেউ কেউ তাঁকে তুলোধনা করে লেখেন, 'আপনাদের জন্যই বাংলার আজ এই দুরাবস্থা। কটা অবাঙালি শুভ বিজয়া বলল, শুভ দীপাবলি বলে, কটা অবাঙালি শুভ দোলযাত্রা বলে? আপনারা যতক্ষণ না বাঙালি জাতিকে শেষ করতে পারছেন ততক্ষণ চালিয়ে যান। আপনাদের মতো লোকরাই বাংলা সংস্কৃতিকে কবরে পাঠাবেন।'
তবে কেউ কেউ আবার প্রশংসাও করেন। একজন লেখেন, 'আপনাকেও শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।' 'ভীষণ ভালো থাকবেন। ভালো লাগছে আপনাকে' মন্তব্য আরেকজনের।