বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Suniel Shetty: বাবা মাত্র ৯ বছর বয়সে লোকের বাড়িতে কাজ করতেন, বলতে লজ্জা পাই না: সুনীল শেট্টি

Suniel Shetty: বাবা মাত্র ৯ বছর বয়সে লোকের বাড়িতে কাজ করতেন, বলতে লজ্জা পাই না: সুনীল শেট্টি

সুনীল শেট্টি ও আথিয়া শেট্টি

সুনীল শেট্টি আরও বলেন, ‘তাঁর মা এই শো নিয়মিত দেখেন এবং তাঁদের পরিবারের অংশ মনে করেন। তিনিও তাঁকে মেয়ে কিংবা বোনের মতোই দেখেন।’ এরপর সুনীল যা বলেন, তা শুনে চোখে জল এসে যায় দেবস্মিতারও। সুনীল বলেন, আমি তোমার বাবার সঙ্গে বসে এই শো দেখব, তোমার গান শুনব, যাতে ওঁর আবেগটা, একজন বাবার চোখ দিয়ে দেখতে পারি।'

মাত্র ৯ বছর বয়সেই মুম্বই চলে এসেছিলেন সুনীল শেট্টির বাবা। একটি বিল্ডিং পরিষ্কার, বাসন মাজার কাজ করতেন তিনি। খুব কষ্ট করেই বড় করেছেন ছেলে সুনীলকে। তবে 'ক্লিনার বয়'-এর ছেলে বলে নিজের বাবার পরিচয় কোনওদিনই লুকিয়ে রাখেননি সুনীল শেট্টি। বরাবরই গর্বের সঙ্গে বলেছেন বাবার স্ট্রাগল পিরয়ডের কথা। সম্প্রতি রিয়ালিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর অনুষ্ঠানে এসে এক বাবা-মায়ের জুটি দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন অভিনেতা সুনীল।

ইন্ডিয়ান আইডল-এর প্রতিযোগী দেবস্মিতা রায়কে গাইতে দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন সুনীল। মঞ্চে উঠে সুনীল শেট্টির হিট ছবি 'মেলা'র গান 'ঝাঁঝারিয়া' গেয়ে শোনান দেবস্মিতা। যা শুনে চোখে জল এসে যায় তাঁর বাবার। এরপরই দেবস্মিতার গানের প্রশংসা করার সময় সুনীলের কথায় আবেগ ধরা পড়ে। তিনি বলেন, ‘তোমার বাবার সঙ্গে তোমার এই সুন্দর বন্ধন দেখে বেশ ভালো লাগছে। কারণ আথিয়ার সঙ্গেও আমার এমনই একটি বন্ধন রয়েছে। একই ভালবাসা রয়েছে বলেই আমি আছি, আমি তো ওঁর জন্যই বেঁচে আছি।’

সুনীল শেট্টি আরও বলেন, ‘তাঁর মা এই শো নিয়মিত দেখেন এবং তাঁদের পরিবারের অংশ মনে করেন। তিনিও তাঁকে মেয়ে কিংবা বোনের মতোই দেখেন।’ এরপর সুনীল যা বলেন, তা শুনে চোখে জল এসে যায় দেবস্মিতারও। সুনীল বলেন, আমি তোমার বাবার সঙ্গে বসে এই শো দেখব, তোমার গান শুনব, যাতে ওঁর আবেগটা, একজন বাবার চোখ দিয়ে দেখতে পারি।

আরও পড়ুন-মামাবাড়িতে একী কাণ্ড! বোনের বিরুদ্ধেই এবার অভিযোগ আনলেন পরীমনি…

আরও পড়ুন-‘খুব শীঘ্রই কোনওদিন আমাদের দেখা হবে’, মায়ের উদ্দেশ্যে লিখলেন আবেগতাড়িত অর্জুন

সুনীল শেট্টির কথায়, ‘বাবা মেয়ের সম্পর্ক এমনটাই হওয়া উচিত, কারণ আমার বাবার সঙ্গেও সম্পর্কটা এমনই ছিল। আমি খুব গর্বিত যে আমার বাবা ক্লিনার বয় হিসাবে কাজ করতেন, তাও সেটা মাত্র ৯ বছর বয়স থেকে। আমি সবসময় বলি যে আমি ক্লিনার বয়ের ছেলে। এত অল্প বয়সে, তাঁকে সবকিছু পরিষ্কার রাখার কাজ করতে হয়েছে যে টেবিলে হাত পৌঁছাতো না বলে উনি টেবিলের চারপাশে ঘুরতেন। আমার এসব কথা বলতে কোনও লজ্জা নেই। আমার মনে হয় সবসময় বাবা-মায়ের কাছে ঋণী থাকুন।’

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)

 

বন্ধ করুন