মাত্র সাত বছরের ফিল্মি কেরিয়ারে বলিউডকে অনেক কিছু দিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে রয়েছে কাই পো ছে, ধোনি দ্য আনটোল্ড স্টোরি, সোনচিড়িয়া,ছিছোড়ের মতো ছবি। সুশান্তের শেষ ছবি দিল বেচারা মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছেন ভক্তরা। ছবির ট্রেলার ইতিমধ্যেই বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। ইউটিউবের ইতিহাসে সর্বাধিক লাইক পাওয়া ট্রেলারের তকমা রয়েছে দিল বেচারার পাশে। ছবির দুটো গানও ইতিমধ্যেই দেখেছে দর্শক। দিল বেচারার টাইটেল ট্র্যাকটি একটা টেকে শ্যুট করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সুশান্ত। সুশান্তের এই কারনামা দেখে স্তম্ভিত দর্শকরা। সেই প্রসঙ্গেই এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন সুশান্তের জামাইবাবু বিশাল কৃতি।
নিজের একমাত্র শ্যালককে হারিয়ে শোকস্তব্ধ তিনি,তবে সুশান্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শ্বেতা সিং কৃতির স্বামী। তিনি টুইট বার্তায় বলেন, এই পুরো গানটা একটা টেকে শ্যুট করা হয়েছে বলেই মনে হয়। এইরকমই ছিল ওর শিল্প। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে সুশান্ত। আর সেই কাজের মাধ্যমেই নিজেকে অমর করে ফেলেছে ও। আমাদের মনের মধ্যে ও চিরকাল বেঁচে থাকবে, আমরা ওর জীবন আর উত্তরাধিকারকে এইভাবেই সেলিব্রেট করে নেব'।
দিল বেচারার টাইটেল ট্র্যাক সুশান্তের শ্যুট করা শেষ গান। গানটি কোরিওগ্রাফ করেছেন ফারহা খান। ছবির হিরো সুশান্ত সিং রাজপুত। সুশান্তের ডান্সিং স্কিলের উপর ভরসা থাকাতেই শুরুতেই এই গানটা একটা শটে শ্যুট করার কথা পরিচালক মুকেশ ছাবরাকে জানিয়েছিলেন ফারহা খান।
তিনি আগেই জানিয়েছেন,' আমি জানতাম সুশান্ত পারবে, আমার মনে আছে আমি একবার একটা ডান্স রিয়ালিটি শোয়ের বিচারক ছিলাম, সেখানে সুশান্ত গেস্ট হিসাবে এসেছিল।জীবনে প্রথমবার দেখেছিলাম একজন অতিথি শিল্পী শোয়ের প্রতিযোগীদের চেয়ে ভালো নাচছে। এই গানটা আমরা গোটা একটা দিন রিহার্স করেছিলাম ব্যস,তারপরে মাত্র কয়েকঘন্টাতেই শ্যুটিং শেষ'।
এই গানটি ফারহার ইচ্ছামতো শ্যুট হওয়ায় সুশান্তের দাবি মেনে নিজের বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে গিয়ে অভিনেতাকে খাইয়েছিলেন ফারহা। আজ সবই স্মৃতির পাতায়। আবেগঘন ফারহা খান। বললেন, ‘আমি গানটা দেখেছি, এটাই বলতে পারি দেখবেন কী প্রাণবন্ত, কী খুশি লাগবে ওকে… এই গানটা আমার জন্য খুব স্পেশ্যাল’।
দেখে নিন সেই গান-
এই গানটি সহ ছবির গোটা অ্যালবামই কম্পোজ করেছেন এ আর রহমান। ছবিতে রয়েছে মোট ৯টি গান। ২৪ জুলাই ডিজনি প্লাস হটস্টারে স্ট্রিমিং শুরু হবে সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ছবি দিলবেচারার।