শুরুটা হয়েছিল বেশ রমরমিয়ে, কিন্তু সপ্তাহ দুই ঘুরতে না ঘুরতেই যে মুখ থুবড়ে পড়বে এভাবে সেটা আর কে জানত! ‘আদিপুরুষ’ মুক্তি পাওয়ার আগে সে টিকিটের কী বিশাল চাহিদা! ২০০-২৫০ টাকার টিকিট পৌঁছেছিল ১৬০০-২০০০ -এ। তাই দিয়েই লোক রাম গাঁথা দেখতে হলে ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু একি! মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই ২০০০ থেকে নেমে ২০০ তো ছাড়ুন ১৫০ টাকা দিয়েও লোকজন ওম রাউতের সিনেমা দেখতে আসছে না।
কিছুদিন আগেই এই সিনেমার নির্মাতাদের তরফে ঘোষণা করা হয় দুদিনের জন্য সমস্ত হলে থ্রি ডিতে এই ছবি দেখা যাবে তাও ১৫০ টাকায়। কিন্তু তাতেও যে বিশেষ লাভ হয়নি বক্স অফিসের হাল বুঝিয়ে দিয়েছে।
৯ দিনে এই ছবি টেনে টুনে কোনও মতে দেশের বাজারে ২৭০ কোটির গণ্ডি টপকেছে। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে মোট আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০০ কোটির কিছু বেশি। ফলে এই বিগ বাজেট রামায়ণের অনুকরণে বানানো ছবির যে ভরাডুবি ঘটেছে সেটা বেশ বোঝাই যাচ্ছে।
হনুমানের জন্য প্রতি হলে সিট বরাদ্দ করার পরও যখন ভরাডুবি আটকানো গেল না তখন ছাড়ই একমাত্র পথ এবং ভরসা! অগত্যা ফের নির্মাতাদের তরফেই কমানো হল এই সিনেমার টিকিটের দাম। এখন মাত্র ১১২ টাকায় টিকিট বিক্রি হচ্ছে ‘আদিপুরুষ’ ছবির। তাতে কতটা লোকজন হলমুখী হয় সেটাই এখন দেখার।
আসলে প্রাথমিক ভাবে এই ছবি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা কমেছে। বেড়েছে বিতর্ক। ‘জ্বলেগি তেরে বাপ কী’, ‘বুয়া কী বাগিচা হ্যায় কেয়া?’ ইত্যাদির মতো সংলাপ শুনে রীতিমত ক্ষেপেছেন অনেকেই। ভারতীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে এই ছবি, এমনটাই মত অনেকেরই। কেবল সংলাপ নয়, ছবি গল্প থেকে চরিত্রায়ন সবেতেই গন্ডগোল। ফলস্বরূপ নানা বিতর্ক উসকেছে এই ছবিকে নিয়ে। দিল্লি, কলকাতা সহ একাধিক হাইকোর্টে রুজু করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। চিঠি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে।
ফলে এসব বিতর্ক থেকে বেরিয়ে এত সস্তায় টিকিট কেনার সুযোগ পেয়ে দর্শকরা আবার হলমুখী হন কিনা সেটা তো সময়ই বলবে!