মিঠাই শেষ হয়েছে। কিন্তু এই সিরিয়ালের প্রতিটি চরিত্র আজও দর্শকদের খুব কাছের। এই মেগা শেষ হওয়ার পর নতুন কাজ নিয়ে একে একে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন সিরিয়ালের কলাকুশলীরা। বড় পর্দায় জার্নি শুরুর প্রস্তুতিতে সৌমিতৃষা, কৌশাম্বি-সৌরভ-ঐন্দ্রিলারা ব্যস্ত তাঁদের নতুন মেগা নিয়ে। সিরিয়ালের শেষ কয়েকমাস আদৃত-কৌশাম্বির প্রেম সম্পর্ক নিয়ে কম কাটাছেঁড়া হয়নি সোশ্যালে। পাশাপাশি মিঠাইরানির সঙ্গে আদৃত-কৌশাম্বির সম্পর্কের অবনতির গুঞ্জনও ভেসে এসেছে। যদিও প্রকাশ্যে সেই জল্পনা বারবার উড়িয়ে দিয়েছেন সৌমিতৃষা। এর মাঝেই শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এল এক ভিডিয়ো।
আজ, সিদ্ধার্থ মোদকের ‘দিদিয়া’ কৌশাম্বির জন্মদিন। আর কৌশাম্বির জন্মদিনেই মিঠাইয়ের শ্যুটিংয়ের একটি নেপথ্যের ভিডিয়ো প্রকাশ্য়ে এনেছেন তোর্সা,মানে অভিনেত্রী তন্বী লাহা রায়। তন্বীর শেয়ার করা সেই মিষ্টি ভিডিয়োয় ধরা পড়ল সৌমিতৃষা-কৌশাম্বির অফস্ক্রিন-বন্ডিং। 'হেলথি হেঁশেল' প্রতিযোগিতায় যে সময় যোগ দিয়েছিল মিঠাই, তখনকার ভিডিয়ো এটি। ভিডিয়োয় দেখা গেল মেক আপ রুমে কৌশাম্বিকে চেপে ধরেছেন সৌমিতৃষা। সঙ্গ দিচ্ছেন বৌদিমণি তোর্সা। কৌশাম্বি চিৎকার করে বলছেন, ‘আমার চুল ঘেঁটে যাচ্ছে’। কিন্তু কে কার কথা শোনে! কৌশাম্বিকে চেপে ধরে ‘উচ্ছেবাবু মিষ্টি’ খাওয়ানোর চেষ্টায় মিঠাইরানি। শতচেষ্টা করেও পাড় পেলেন না আদৃত-প্রিয়া। তন্বী আর সৌমিতৃষার জোরাজুরিতে শেষমেশ উচ্ছেবাবু মিষ্টিতে কামড় বসাতেই হল তাঁকে। আর হড়বড় করে বলা বলতে গিয়ে কৌশাম্বি বলে ফেললেন- ‘আমি মিচ্ছে (মিষ্টি আর উচ্ছে মিলে গেছে)… মিষ্টি খাই না’। পাশ থেকে সৌমিতৃষা বলেন, ‘আমরা বানিয়েছি খা….’। কৌশাম্বি কাঁদোকাদোঁ গলায় বলেন- ‘এই জন্যই তো এতো বাজে খেতে’।
এরপরই হেয়ারস্টাইলিস্টের কাছে কৌশাম্বি আবদার করতে থাকেন, ‘আমার চুলটা ঠিক করে দাও’। যদিও তিনি অস্বীকার করে বলেন- ‘হেমা মালিনী হয়ে স্কুটি করে চুল উড়িয়ে ফুচকা খেতে গিয়েছিলে তো…’। তারপর ফের তন্বীর সঙ্গে খুনসুটি শুরু হয়ে যায় কৌশাম্বির। পরে ক্যামেরার সামনে এসে সৌমিতৃষা বলেন, ‘দেখুন আমি কত শান্ত মেয়ে, এরা দু-জন প্রচণ্ড মারপিট করে’। পরে কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে কৌশাম্বি বলেন- ‘দেখেছেন একটা ভালো মেয়েকে এরা কত কষ্ট দেয়’।
মোদক বাড়ির দুই জা ও বড় মেয়ের এই ভিডিয়ো দেখে ‘জিয়া নস্টাল’ । একজন লিখেছেন, ‘আমি উচ্ছে খাই না’ এটা সেরা ছিল। আজকের দিনে এই ভিডিওটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ তন্বীদি'। অপর একজন লিখেছেন, ‘এবাবা কৌশাম্বি তো উচ্ছে খেতে ভালোবাসে, দিদি নম্বর ১ তো বলল’। আরেক মিঠাই ভক্ত লেখেন- ‘তোমাদের সবাইকে খুব মিস করছি’।