একাধিক দিনের জন্য শুটিং ব্যাংকিং করা থাকে। কিন্তু তাই বলে রিলের! শুধু রিলের ব্যাংকিং নয়, কবে কোন গানে রিল বানানো হবে সেটারও টু ডু লিস্ট বানিয়ে রাখেন তৃণা সাহা! লাভ বিয়ে আজকাল ধারাবাহিকে এখন তাঁকে দেখা যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকে এখন টানটান পর্ব চলছে, নিজে দাঁড়িয়ে ওমকারের বিয়ে দিচ্ছে শ্রাবণ। আর তার শুটিংয়ের ফাঁকে হিন্দুস্তান টাইমসের মুখোমুখি হয়ে বন্ধুর নামে এসব গুণগান শোনালেন ওম সাহানি ওরফে পর্দার ওম। পর্দার শ্রাবণকে নিয়ে আর কী বললেন চলুন দেখা যাক। থুড়ি পড়া যাক।
একটা নয়, দুটো বিয়ে! দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে কি একটু চাপ লাগছে?
ওম: চাপ তো রয়েইছে, তবে আমার না, ওল্ড ম্যান, মানে দাদুর। (হাসি)
আর তৃণা আপনার?
তৃণা: ওফ, শ্রাবণের তো এখন দারুণ ভালো লাগছে। মানেই সেই লেভেলের গুড ফিলিং একেবারে।
তাই কি বরের বিয়েতে এত সেজেগুজে?
তৃণা: ভালো লাগছে? (সম্মতি জানাতেই বললেন) বিয়ে বাড়ি বলে কথা, বলো সাজব না একটু? বিয়ে বাড়িতে সাজতে তো হবেই।
ঠিকই তো, সোমবার তার মানে সত্যিই ওমকার আর অনুষ্কার বিয়ে হচ্ছে?
তৃণা: বিয়ে তো একটা হচ্ছেই। কিন্তু কার সেটা সোমবার মহাপর্বেই জানা যাবে।
ওম: একেবারেই। শ্রাবণের পরিকল্পনা জেতে নাকি অন্য কিছু ঘটে সেটা সোমবার সাড়ে আটটায় স্টার জলসার পর্দাতেই দেখা যাবে।
ওম তো দ্বিতীয় বিয়ে করছে, তবে কি শ্রাবণও এবার আরেকবার বিয়ের পিঁড়িতে বসবে নাকি?
শ্রাবণ: ওমকার বিয়ে করলেও শ্রাবণকে বিয়ে করতে দেবে না। ও আগে বলেই দিয়েছে আমি বিয়ে করলেও তুমি এখানে থাকবে।
ওম: আসলে ওমকারের ওর প্রতি একটা দারুণ অধিকারবোধ আছে। ভালো হয়তো বাসে। কিন্তু এই বিষয়টি না ওই পুজো আসার মতো, আসছে আসছেই ভালো। বাকি দেখা যাক।
বালিঝড়ের পর আবার মেগায় কামব্যাক। কেমন লাগছে?
তৃণা: ভীষণ ভালো। এটা আমার সেকেন্ড হোম। আমি কাজ করতে খুব ভালোবাসি। নিজের ৫০০ শতাংশ সেখানে দেওয়ার চেষ্টা করি।
ওম তো আপনার পুরনো বন্ধু। কাজ করে কেমন লাগছে এখানে?
তৃণা: ভীষণ ভালো। ছোট পর্দায় ফেরার এটা চেরি অন দ্য টপ বলতে পারো। অনেক সময় রসায়ন জমতে টাইম লাগে। কিন্তু এক্ষেত্রে একদম অসুবিধা হয়নি। চেনা বন্ধুর সঙ্গে কাজ করার এটা একটা সুবিধা। আমাদের বোঝাপড়াটা বেশ ভালো।
হ্যাঁ, সেটা অনর্গল খুনসুটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু ওম আর তৃণার যতই বন্ধুত্ব থাক, ওমকারের বিরুদ্ধে শ্রাবণের কী অভিযোগ?
তৃণা: প্রচণ্ড রুড, অসভ্য, কথা বলতে এবং শুনতে কোনওটাই চায় না। কিন্তু না চুপিচুপি বলি কথা শোনে ও। (বলেই জড়িয়ে ধরেন ওমকে)
আর ওমকারের কী কী সমস্যা শ্রাবণকে নিয়ে?
ওম: ক্লজে যা যা লেখা ছিল না করতে, ও সব করে ফেলেছে। আর কী বলি! তবে এটা বলতে পারি তৃণা আসার পর যেন নতুন প্রাণ এসেছে।
তবে অনস্ক্রিন দুজনে যতই ঝামেলা করুন না কেন আদতে কিন্তু অফস্ক্রিন দুজনের খুনসুটি মজা লেগেই আছে। চলছে অহরহ রিল বানানোও।