‘বুলবুল’, ‘কলা’র মতো ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে, কিন্তু ‘অ্যানিম্যাল’-এ মাত্র ১০ মিনিটের উপস্থিতি বদলে দিয়েছে তৃপ্তি দিমরির ভাগ্য। রাতারাতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার ৬ লক্ষ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ লক্ষে। এখন গোটা দেশের 'নতুন ক্রাশ' তৃপ্তি দিমরি। আরও পড়ুন-নগ্ন হয়ে রণবীরের সঙ্গে শয্যাদৃশ্য, কাঠগড়ায় তৃপ্তি! কটাক্ষ নিয়ে জবাব নায়িকার
সন্দীপ রেড্ডি ভঙ্গার এই ছবিতে রণবীরের সঙ্গে তৃপ্তির অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখে চোখ কপালে দর্শককূলের। একটি দৃশ্যে রণবীর তৃপ্তিকে জুতো চাটতে বলেন, অন্য একটি সিনে সম্পূর্ণ ‘নগ্ন’ হয়ে যৌনতায় মজে পর্দার জোয়া (তৃপ্তি) ও রণবিজয় (রণবীর)। এইসব বিতর্কিত দৃশ্য ঘিরে কী প্রতিক্রিয়া অভিনেত্রীর বাবা-মা'র? খোলসা করলেন তৃপ্তি।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন- ‘মা-বাবা একটু অবাকই হয়েছিলেন। আমায় বলেন, তাঁরা কখনও এ ধরনের ছবি দেখেননি। আমি এমন দৃশ্যে অভিনয় না করতেই পারতাম। খুব মিষ্টি করেই আমায় জানিয়েছিলেন তাঁরা। মা এবং বাবা তাঁরা যা উপলব্ধি করেছিলেন এই ভাবনা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু ঠিক আছে। হতেই পারে, জানিয়েছেন দুজনে।’
তৃপ্তি যোগ করেন, ‘আমি ওঁনাদের বুঝিয়েছি আমি ভুল কিছু করিনি। অভিনেত্রী হিসাবে এটা আমার কাজ। আর আমি যতক্ষণ সুরক্ষিত রয়েছি, এবং স্বচ্ছন্দবোধ করছি, তাতে অসুবিধ কিছু নেই। আমাকে অভিনেত্রী হিসাবে নিজের কাজের প্রতি সৎ থাকতে হবে ১০০ শতাংশ, আমি সেটাই করেছি’।
এর আগে তৃপ্তি এই দৃশ্য সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, কেমনভাবে শ্যুটিংয়ের সময় রণবীর ও পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা তাঁর যত্ন নিয়েছেন। চরম ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে শ্যুটিংয়ের সময় সেটে পরিচালক, রণবীর ছাড়া একমাত্র চিত্রগ্রাহক উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যেই বার বার তৃপ্তিকে একই কথা জিজ্ঞেস করে চলেছিলেন রণবীর- ‘তুমি ঠিক আছো তো? তোমার কিছু প্রয়োজন আছে? তুমি কমফর্টবেল তো?’ তৃপ্তি বলেন, ‘যখন আশেপাশের মানুষরা তোমাকে এতটা সাপোর্ট করে তখন আর কিছুই অস্বস্তিকর বলে মনে হয় না’।
বোল্ড সিন নিয়ে তৃপ্তির সাফ কথা, 'আমি অভিনেত্রী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কেউ আমাকে বাধ্য করেনি। আমি এই পেশায় এসেছি কারণ এই কাজটা আমার মধ্যে শিহরণ জাগায়। আমি যখন অভিনয় করি, একটা চরিত্র হয়ে উঠি সেটা আমার ক্ষতগুলোয় মলম লাগায়। চ্যালেঞ্জের মধ্যে আমি আনন্দ খুঁজে পাই’।