এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে একইসঙ্গে দুটো ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অলকানন্দা গুহকে। আয় তবে সহচরীর পাশাপাশি দেবী ধারাবাহিকেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ঝুমকি মানে বরফির মামাতো বোন দীর্ঘ সময় ধরেই টিভির দুনিয়ার পরিচিত মুখ। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়েই দারুণ গুড নিউজ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। নতুন বছরেই জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করছেন অলকানন্দা। ‘ইরাবতীর চুপকথা’ পরিচালক মনোজিতের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অলকানন্দা।
প্রি-ওয়েডিং ফাংশন বছরের শেষ থেকেই শুরু করে দিলেন মহাপীঠ তারারীঠ ধারাবাহিকের 'বিপত্তারিণী'। রবিবার বান্ধবীদের নিয়ে চুটিয়ে পুল পার্টি করলেন অলকানন্দা, আ জানিয়ে দিলেন এটা তাঁর ব্যাচেলার পার্টির প্রথম পর্ব। মানে পিকচার আভি বাকি হ্যায়…
এদিন সুইমিং পুলের নীল জলে কালো শর্টস আর কালো স্প্যাগেটি টপে পাওয়া গেল অলকানন্দাকে। গানের তালে তাল মিলিয়ে চলল নাচ। সেই জলকেলির ভিডিয়ো শেয়ার করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
গত বছর এপ্রিলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা সেরে ফেলেছিলেন প্রেমে পড়েছেন তিনি। সময় যত এগিয়েছে ততই গাঢ় হয়েছে এই জুটির ভালোবাসার রঙ। আর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রেম সম্পর্কে শিলমোহর দিচ্ছেন অলকানন্দা-মনোজিত।
ইরাবতীর চুপকথা, মহাপীঠ তারাপীঠ ছাড়াও আলো ছায়া-র মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন অলকানন্দা। মানামি-সৈয়দ আরেফিন অভিনীত ‘ইরাবতীর চুপকথা’র সেটেই পরিচালক প্রেমে পড়েছিলেন অলকানন্দার। প্রোপোজও করেছিলেন অভিনব ভঙ্গিতে। অভিনেত্রী এর আগে এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, ‘সত্যি বলছি ওইদিনটার কথা ভাবলেই আমার হাসি পায়। আমরা ইরাবতীর চুপকথার শ্যুটিং করছিলাম ওই দিন, ও আমাকে বলে শ্যুটিং শেষে ওর সঙ্গে বাইরে যেতে। আমি একটু চমকে গিয়েছিলাম, কিন্তু হ্যাঁ বলি। প্যাক-আপের পর একটা জায়গায় গিয়েছিলাম আমরা… ও হঠাত্ বলে উঠল ‘আমি মাস ভালোবাসি, মাংস খাই না, আমার মা মাংস ভালোবাসেন। যদি তুমি আমাকে বিয়ে কর আমার মা মাংস খাওয়ার সঙ্গী পাবেন। আমি তো পুরো চমকে গিয়েছিলাম! প্রথমে বোঝবার চেষ্টা করি যে ও সত্যি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে নাকি এটা কোনও ইয়ার্কি চলছে! যখন ও বলল, ও সিরিয়াসলি এই কথাগুলো বলছে, আমার মনে হল ছেলেটা নির্ঘাত পাগল'।
সেই দিন এটা মনোজিতের পাগলামি ভেবে এড়িয়ে গেলেও কিছুদিনের মধ্যেই মনের রঙ বদলায় অলকানন্দারও। আর দুই পরিবারের সম্মতিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে চারহাত এক হবে দুজনের।