ওজন নিয়ে কোনওদিনই বিশেষ ছুতমার্গ নেই তাঁর। ওজন বেশি হলেও সবরকমের পোশাকে স্বছন্দ তিনি, ফিটনেসের মামলাতেও তিনি কম নন- তার প্রমাণ বহুবার পেয়েছে দর্শক। কথা হচ্ছে কমেডিয়ান ভারতী সিং-এর। তবে সম্প্রতি চুটকিতে ১৫ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন ভারতী, নতুন ভারতীকে দেখে স্বামী হর্ষ লিম্বোচিয়ার কী প্রতিক্রিয়া, তাও ফাঁস করেছেন ভারতী। অভিনেত্রী এবার নিজের ওজন ঝরানোর এই রহস্য ফাঁস করেছেন। এক সাক্ষাত্কারে ভারতী জানান তিনি ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ (intermittent fasting) এর মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।
ভারতী জানিয়েছেন, এই ওজন হ্রাস তাঁকে শারীরিকভাবে আরও মজবুত করেছে, বিশেষত তাঁর বেশকিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যেমন ডায়াবেটিস, অ্যাস্থমা- সেগুলির ব্যাপারেও সহায়ক হয়েছে। কমেডিয়ানের কথায়, আগে তাঁর ওজন ছিল ৯১ কিলোগ্রাম, এখন দাঁড়িয়েছে ৭৬ কিলোগ্রামে।
‘এখন শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয় না, অনেক হালকা মনে হয় নিজেকে। আমার অ্যাস্থমা আর ডায়াবেটিসের সমস্যাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে’, এক সংবাদমাধ্যমকে জানান ভারতী। তবে স্ত্রীর এই ট্রান্সফরমেশনে নাকি একদম খুশি নয় হর্ষ! ভারতী জানান, হর্ষ আগের মতো ভারতীর ভুঁড়ির সঙ্গে খেলতে না পারার আফসোসেই কাহিল, পাশাপাশি বাইরে খাবার খাওয়া ভারতী একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন, এই বিষয় নিয়েও একদম খুশি নন হর্ষ।
ভারতী জানিয়েছেন, ‘আমি সন্ধ্যা ৭ থেকে পরদিন দুপুর ১২টা অবধি খাই না, এরপর দুপুর ১২টা বাজলেই খাবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি। সাতটার পর ডিনার, এমনিতেও আমার শরীর সহ্য করে না। আমি ৩০-৩২ বছর প্রচুর খেয়েছি, এরপর একটু শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় এসেছে। শরীরও ধীরে ধীরে সবকিছু মানিয়ে নিচ্ছে’।
‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ কী?
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হচ্ছে দিনে একটা নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকার ডায়েট। নারী ও পুরুষভেদে এই না খেয়ে থাকার সময়সূচি আলাদা। আপনি যতক্ষণ জেগে আছেন, তার মধ্যে লম্বা একটা সময় না খেয়ে থাকতে হবে, এটা এই ডায়েটের নিয়ম। ১০ ঘণ্টা থেকে আরম্ভ করে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত না খেয়ে থাকা যায়। অনেকে আবার এই না খেয়ে থাকার সময়টায় জলস্পর্শও করেন না, তাকে বলে ড্রাই ফাস্টিং। যদিও এই ধরণের ডায়েট ফলো করবার আগে চিকিত্সকদের পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরি।
ভারতী জানিয়েছেন, এখন নিজেকে স্ক্রিনে দেখে গর্বিত তিনি। আপতত ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ এবং ‘ডান্স দিওয়ানে’-তে দেখা যাচ্ছে ভারতীকে।