ফের কোপ কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্টে। দিন কয়েক আগেই টুইটারের নিময়বিধি ভাঙায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টে, এবার কঙ্গনার বেশ কিছু বিতর্কিত টুইট মুছে দিল কর্তৃপক্ষ। ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে ওই টুইটগুলি ডিলিট করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে কঙ্গনা পর পর দু-ঘন্টায় দুটি টুইট করেন,যা মুছে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। দুটি টুইটই কৃষিবিল বিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত। টুইটার কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা সেইসব টুইটের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিয়েছি যা টুইটারের নিয়মবিধি বিরুদ্ধ’। কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে মুখ খোলায় গতকাল থেকেই টুইটারে আন্তর্জাতিক পপতারকা রিহানাকে কটাক্ষ করেন কঙ্গনা। তাঁকে ‘সন্ত্রাসবাদীদের বন্ধু’, পর্ন গায়িকা, বোকা- নানান শব্দবাণে বিদ্ধ করেন অভিনেত্রী। সামজকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকেও ‘ইঁদুর’ বলে আক্রমণ শানান কঙ্গনা রানাওয়াত।
কঙ্গনার যে দুটি টুইট মুছে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি রোহিত শর্মার টুইটের প্রেক্ষিতে লেখা। রিহানা ও গ্রেটা কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট করবার পরই আর্ন্তজাতিক মহলে অস্বস্তিতে পরে ভারত। ঘটনার জেরে নড়চড়ে বসে বিদেশমন্ত্রক। রীতিমতো কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি জারি করে সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে সেলেব্রিটিদের মন্তব্য করবার আগে বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত সব দিক বিবেচনা করবার আর্জি জানানো হয়।
এরপর বলিউড ও ক্রিকেট তারকারা ভারত বিরোধী প্রোপাগান্ডা নিয়ে সুর চড়ান। ক্রিকেটার রোহিত শর্মা লেখেন, ‘আমরা যখনই একজোট হয়েছি তখনই ভারত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছি। এখন সবচেয়ে জরুরি হল সমস্যার সমধান খুঁজে বার করা,কৃষকরা এই দেশ তৈরিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। আর আমি আশা রাখছি সকলে মিলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তাঁদের সমস্যার সমাধান করতে’। এই টুইটটি রিটুইট করে কঙ্গনা বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। লেখেন, ‘ প্রত্যেক ক্রিকেটার কেন ধোবি কা কুত্তার মতো কথা বলছে।কেন কৃষকরা সেই আইনের বিরোধিতা করবে যেটা তাঁদের সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে তৈরি। ওরা সন্ত্রাসবাদী, যারা হাঙ্গামা করছে। এটা বলতে কী ভয় লাগছে?’