গত রবিবার সকালে সলমনের বাড়ির উপরে হামলা করেছিল দুই বন্ধুকবাজ। একটি বাইক নিয়ে তাঁরা এসেছিলেন গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে। দু রাউন্ড গুলিও চালানো হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবারই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়, তোলা হয় আদালতে। এই ঘটনার দায় স্বীকার করে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং।
আর সেই কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-ই নাকি বৃহস্পতিবার রাতে পৌঁছে গেল সলমন খানের বাড়ির বাইরে! এক অ্যাপ ক্যাব ড্রাইভার, গ্যালাক্সির সামনে এসে খোঁজ করতে শুরু করেন লরেন্সের।
বৃহস্পতিবার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছে সেই ক্যাব চালক লরেন্স বিষ্ণোই কোথায় থাকেন তা নিয়ে গেটে দাঁড়ানো নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞেস করেন। তিনি গার্ডকে বললেন যে, তিনি লরেন্স বিষ্ণোইকে তুলতে সেখানে এসেছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম শুনেই ক্যাব চালককে হেফাজতে নেন। এরপর তাঁকে বান্দ্রা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সোলাপুরে কংগ্রেসের প্রচারে অবিকল শাহরুখের মতো দেখতে ইনি কে? অবাক জনতা, চটল BJP
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে, ক্যাব চালক জানতেনই না তিনি যে ঠিকানায় এসেছেন, সেখানে সলমন খানের বাড়ি। এটাও জানেন না যে, লরেন্স বিষ্ণোই একজন গ্যাংস্টার। বরং, এক জনৈক কেউ এই নামে ক্যাব বুক করে, সলমনের বাড়ির ঠিকানা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন রাজকুমার রাও? বিতর্ক বাড়তেই জবাব এল, ‘একটু ফিলার করাই…’
তদন্তে পুলিশ খুঁজে পায়, যে ব্যক্তি ক্যাবটি বুক করেছিল সে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে বসবাসকারী ২১ বছর বয়সী এক ছাত্র। ওই ছাত্রের নাম রোহিত ত্যাগী। পুলিশের একটি দল গাজিয়াবাদ পৌঁছে রোহিত ত্যাগীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। রোহিতের দাবি, পুরোটাই নাকি ছিল পিজে অর্থাৎ প্র্যাকটিক্যাল জোক। মস্করা করতেই এমনটা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কনসার্ট শুনতে হাজির এ কে! ৩ মাসের শিশুকে দেখে এটাই করলেন অরিজিৎ
এদিকে, শুক্রবার দুপুরেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দুবাইয়ের পথে রওয়ানা হয়েছিলেন সলমন খান। অভিনেতার পরনে ছিল কালো টি-শার্ট, সঙ্গে ম্যাচিং প্যান্ট-সানগ্লাস। বিমানবন্দরের বাইরে উপস্থিত পাপারাজ্জিদের তিনি দূর থেকেই মাথা নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
জানা যাচ্ছে, মুম্বই পুলিশের আধিকারিকরা সলমনের বাড়িতে পৌঁছানোর পর, অভিনেতা তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।অন্য দিকে, গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার দুই বন্দুকবাজ দাবি করেন, তাঁরা কখনোই চাননি অভিনেতাকে প্রাণে মারতে। শুধু ভয় দেখাতে চেয়েছিলেন। য