বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Jhinder Bondi Remake: একফ্রেমে উত্তমকুমার-সৌমিত্র, তপন সিনহার ‘ঝিন্দের বন্দী’র রিমেক করছেন অরিন্দম শীল?

Jhinder Bondi Remake: একফ্রেমে উত্তমকুমার-সৌমিত্র, তপন সিনহার ‘ঝিন্দের বন্দী’র রিমেক করছেন অরিন্দম শীল?

‘ঝিন্দের বন্দী’

শোনা যাচ্ছে, 'ঝিন্দের বন্দী' রিমেকের বিষয়টি নাকি এই মুহূর্তে প্রথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চিত্রনাট্যকার, পরিচালক অরিজিৎ বিশ্বাস নাকি এই ছবির চিত্রনাট্য লিখছেন! তবে ‘ঝিন্দের বন্দী’র রিমেক নিয়ে ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’কে পরিচালক অরিন্দম শীল বলেন, ‘না, না, এইরকম কিছুই ঘটছে না। এমন কিছু ঘটলে নিশ্চয় জানাব।’

এক ফ্রেমে দুই কিংবদন্তি। উত্তর কুমার ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অরুন্ধতী দেবীও। ১৯৬১ সালে মুক্তি পেয়েছিল তপন সিনহা পরিচালিত সেই বিখ্যাত, জনপ্রিয় ছবি ‘ঝিন্দের বন্দী’। সেই ছবির পর কেটে গিয়েছে প্রায় ছয় দশক। TOI -এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, আইকনিক এই বাংলা ছবি ‘ঝিন্দের বন্দী’র নাকি রিমেক হচ্ছে। যে ছবির পরিচালনা করছেন পরিচালক অরিন্দম শীল। প্রযোজক হিসাবে থাকছে নামী প্রযোজনা সংস্থা।

TOI -এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে 'ঝিন্দের বন্দী' রিমেকের বিষয়টি এই মুহূর্তে এক্কেবারেই প্রথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চিত্রনাট্যকার, পরিচালক অরিজিৎ বিশ্বাস নাকি এই ছবির চিত্রনাট্য লিখছেন, যেটির কাজ একপ্রকার শেষের পর্যায়ে। মূল গল্পটি অক্ষুন্ন রেখে নতুনভাবেই তৈরি করা হবে এই ছবি। তবে এই ছবির বিষয়ে এখনও অফিসিয়ালি কিছুই জানানো হয়নি।

তবে ‘ঝিন্দের বন্দী’র রিমেক নিয়ে 'হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা'র তরফে যোগাযোগ করা হয় পরিচালক অরিন্দম শীলের সঙ্গে। তিনি অবশ্য পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করেন। অরিন্দম শীল বলেন, ‘না, না, এইরকম কিছুই ঘটছে না। যদি কখনও এমন কিছু হয় নিশ্চয় জানাব।’

আরও পড়ুন-শাহরুখের কাছেই ফের হার! মুক্তির ৩৩ দিনে বক্স অফিসে কত আয় করল সানির গদর-২?

প্রসঙ্গত তপন সিনহা পরিচালিত, 'ঝিন্দের বন্দী' ছবিটির মূল প্রেক্ষাপট ১৯৮৪ সালের অ্যান্টনি হোপের ‘দ্য প্রিজার অফ জেন্ডা’ উপন্যাস থেকে গৃহীত হয়েছিল। ছবির গল্পে একজন ব্যক্তি কলকাতায় গৌরী শঙ্কর রায় (উত্তম কুমার) এর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। যিনি নিজেকে মধ্যপ্রদেশের একটি ছোট রাজ্য ঝিন্দের 'ফৌজি সর্দার' (সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান) হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি বলেন ঝিন্দের রাজা শঙ্কর সিং তাঁর রাজ্যাভিষেকের ঠিক আগে রাজ্য থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। যেটি কিনা তাঁর নিজের ভাই উদিত সিংয়ের একটি ষড়যন্ত্র, যিনি রাজ্য নিজের হাতে চান। এর আগেও, দুইবার রাজ্যাভিষেকের আয়োজন করা হয়েছিল, কিন্তু কোনও অনুষ্ঠানেই রাজাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। উদিত একজন নিষ্ঠুর মানুষ, ভালো রাজা হওয়ার অযোগ্য বলে জানানো হয়। বলা হয় শঙ্কর সিং-এরও অনেক দুষ্কর্ম আছে, তবে তিনি একজন সহৃদয় ব্যক্তি যিনি তার নাগরিকদের যত্ন নেবেন এবং রাজা হওয়ার যোগ্য। গল্পে কাকতালীয়ভাবে, গৌরীশঙ্করকে দেখতে হুবহু শঙ্কর সিংয়ের মতো। আর তাই ফৌজি সর্দার তাঁকে রাজ্যাভিষেকের জন্য রাজা সাজাতে বলেন অন্তত যতক্ষণ না আসল রাজাকে খুঁজে না পাওয়া যায়। গৌরীশঙ্ক রাজি হন। এরপর তিনি ঝিন্দের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপরই ঘটে নানান ঘটনা।

ছবির গল্পে গৌরী শঙ্কর রায়ের চরিত্রে উত্তম কুমার এবং উদিত সিংয়ের বন্ধু ময়ূরবাহনের চরিত্রে অভিন. করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। আর রানি কস্তুরী বাই-এৎ ভূমিকায় ছিলেন অরুন্ধতী দেবী। এখন প্রশ্ন সতিই যদি 'ঝিন্দের বন্দী' রিমেক হয়, তাহলে এই চরিত্রগুলিকে কে অভিনয় করবেন?

 

 

বন্ধ করুন