গত কয়েক বছর ধরে বক্স অফিসে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না বিদ্যার। তবে বলিউডের নারীকেন্দ্রিক ছবির পোস্টার গার্ল তিনি। কাহানি, ডার্টি পিকচার থেকে শুরু করে পা, বিদ্যার ফিল্মোগ্রাফিতে রয়েছে একাধিক হিট ছবি। ছবি হিট হোক বা ফ্লপ নিজের স্টাইল স্টেটমেন্টের জন্য শুরু থেকে ফ্যাশন বোদ্ধাদের খরচার খাতায় বিদ্যা। আরও পড়ুন-বিছানায় অন্তরঙ্গ পাখি আর কুশ! সামনে দাঁড়িয়ে ‘রেগে ফায়ার’ শ্রুতির বর? এল জবাব
নায়িকাসুলভ ছিপছিপে চেহারার মালকিন নন বিদ্যা, সেই ট্রেন্ডে কোনওদিন গাও ভাসাননি। চেহারা নিয়ে কটূক্তি হাসিমুখে উড়িয়েছেন, কখনও আবার কড়া জবাব দিয়েছে। সম্প্রতি বডি শেমিং আর ফ্যাশন পুলিশদের ট্রোলিং নিয়ে মুখ খুলছেন সিদ্ধার্থ রয় কাপুর ঘরণী।
মাসাবা গুপ্তার পডকাস্টে বিদ্যা বলেন, ‘আমি নিজের চেহারা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নই কারণ আমি নিজেই নিজেকে পছন্দ করি না। শুরুর দিকে সকলে আমায় ভালোবাসা দিয়েছে, তারপর হঠাৎ দু-তিন বছর পর দেখলাম লোকজন আমাক নিয়ে চর্চা শুরু করেছে। বলছে, ছবি গুলো তো চলছে,কিন্তু ওকে মানায়নি। ওকে নায়িকা হিসাবে ভালো লাগছে না, বড্ড মোটা। ওর পোশাক পরার ধরনও বিশ্রী'।
এক পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে সবচেয়ে খারাপ পোশাক পরা নায়িকা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল বিদ্যাকে। সেই দুঃস্বপ্নের কথা স্মরণ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল। আমি বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছিলাম। সৌভাগ্যবশত তখন সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা ছিল না, কিন্তু সংবাদপত্রের পাতায় আমার ড্রেসিং সেন্স নিয়ে সমালোচনা চলত। হয়ত তাঁরা একদম অন্য টপিকে কথা বলছে, হঠাৎ করে আমার ড্রেসিং সেন্সকে কটাক্ষ।’
সেই কঠিন সময়ে কাছের মানুষদের পাশে পেয়েছিলেন বিদ্যা। অভিনেত্রী জানান তাঁর দেওর তাঁকে প্রশ্ন করেছিল, ‘তুমি এখানে কী হতে এসেছিলে?’ তাঁর জবাব ছিল, ‘অভিনেত্রী হতে’। সব ভুল অভিনয়েই ফোকাস করার উপদেশ পান বিদ্যা। এরপর কাহানির বিদ্যা বাগচি দৃঢ়তার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওজন ঝরাতে হবে, নিজেকে বদলাতে হবে।
এরপর বিদ্যার কনফিডেন্স ফিরিয়ে এনেছিলেন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। শাড়ি পরতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন বিদ্যা। সেই ভালোবাসাটাকেই আপন করে দেওয়ার টিপস দেন ডিজাইনার। এখন পাবলিক অ্যাপিয়ারন্সে মূলত শাড়িতেই ধরা দেন বিদ্যা। তাঁর শাড়ির কালেকশন দেখলে আপনি অবাক হবেন।