এখন টক অফ দ্য় টাউন বিক্রান্ত ম্যাসি, সৌজন্যে ‘টুয়েলভথ ফেল’। আইপিএস মনোজ কুমার শর্মার চরিত্রে অভিনয় করে বিক্রান্তের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তবে সম্প্রতি নিজের ভাই মঈন-কে নিয়ে কথা বলেছেন বিক্রান্ত। কারণ, অনেকেরই প্রশ্ন বিক্রান্তের নিজের ভাই-এর নাম মঈন কীভাবে হতে পারে?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিক্রান্ত ম্যাসি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের নাম মঈন, আর আমাকে বিক্রান্ত নামে বলে ডাকা হয়। আপনি ভাববেন মঈন নাম কেন? কারণ আমার ভাই ইসলাম গ্রহণ করেছে। আমার পরিবার ওকে এই ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধা দেয়নি। কারণ, ওঁরা ভাইকে বলেছিল, ‘বেটা, যদি তুমি এতে সন্তুষ্টি পাও, তবে এগিয়ে যাও।’ বিক্রান্ত আরও জানান, ’ভাই মাত্র ১৭ বছর বয়সে ধর্মান্তরিত হয়েছিল, এটা একটা বড় পদক্ষেপ। আমার মা শিখ ধর্মাবলম্বী, আর আমার বাবা একজন ক্রিশ্চান, উনি নিসপ্তাহে দুবার গির্জায় যান। ছোটবেলা থেকেই আমি ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক দেখেছি।'
বিক্রান্তের পরিবার তাই ভাইকে ইসলাম গ্রহণের অনুমতি দেওয়ায় আত্মীয়রা কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন? এই প্রশ্নে বিক্রান্ত ম্যাসি বলেন, ‘আমার বাবাকে আমার অনেক আত্মীয় প্রশ্ন করেছিলেন যে তিনি কীভাবে ছেলেকে ধর্মান্তরিত হওয়ার অনুমতি দিলেন? বাবা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ’ও আমার ছেলে, ও শুধুই আমার কাছে জবাবদিহি করবে। ও যা চায় তা বেছে নেওয়ার সমস্ত অধিকার ওর আছে। এটা নিয়ে অন্যকারোর মাথা ঘামানোর কোনও প্রয়োজন নেই'।
বিক্রান্তের কথায়, ‘এসব দেখার পর আমিও আমার মতো করে ঈশ্বরের সন্ধান করেছি। নিজেকে প্রশ্ন করেছি ধর্ম আসলে কী? উত্তর পেয়েছি এই সবই মানুষের তৈরি করা।’
ওই একই সাক্ষাৎকারে বিক্রান্ত বলেন, অর্থকষ্টের মধ্যে বড় হওয়ার পর তিনি টেলিভিশনে কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে মোটা টাকা রোজগার করা শুরু করেছিলেন। বিক্রান্ত অকপটে জানান, ‘টেলিিভিশনে কাজ করে মাত্র ২৪ বছর বয়সেই আমি নিজের বাড়ি কিনে ফেলেছিলাম। ভাবুন তো একটা ২২-২৩ বছরের ছেলে মাসে ৩৫ লাখ টাকা উপায় করছিল, আর কী চাই! আমার মতো পরিবারের কাছে এটা অনেক বড় বিষয়। বাড়ি কেনার পর ঋণ পরিশোধ করে, বাবা-মাকেও সুন্দর জীবন দিতে পেরেছিলাম। তবে আর্থিকভাবে নিরাপদ হওয়ার পরেও আমি রাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারতাম না। তারপর আমি সব ছেড়ে দিলাম। কারণ আমি ভালো কাজ করতে চেয়েছিলাম…’।
বিক্রান্তের কথায় তিনি টেলিভিশনের নিশ্চিত ভবিষ্যত, চ্যানেলের ৩৫ লাখের মাসিক চুক্তি পায়ে ঠেলে ফের স্ট্রাগল শুরু করেন। কারণ শুধুমাত্র ছোটপর্দার পশ্চাদমুখী (regressive) বিষয় তাঁর পছন্দ ছিল না। ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়লেও মনের শান্তি পাচ্ছিলেন না, তাই মনের কথাই শুনেছিলেন।