কিছুদিন আগে সলমন খানের বাড়ির সামনে ভোররাতে গুলি চালায় দুই ব্যক্তি। সেই দুজন ছাড়াও আরও বেশ কিছুজনকে এই কেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে মুম্বই পুলিশ। আর সেই সময়ই পুলিশ কাস্টডিতে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অন্যতম অভিযুক্ত অনুজ থাপন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেদিন গুলি চালানোর জন্য দুই মূল অভিযুক্ত ভিকি গুপ্তা এবং সাগর পালকে নাকি এই অনুজই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েছিলেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
কী ঘটেছে?
অনুজ থাপন যে দুই ব্যক্তি সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালিয়েছিলেন তাঁদের নাকি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েছিলেন। এদিন তিনি পুলিশ কাস্টডিতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারপরই তাঁকে গুরুতর অবস্থায় তড়িঘড়ি কাছের হাসপাতাল অর্থাৎ সেন্ট জর্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে কমিশনারের অফিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চে রাখা হয়েছিল তাঁকে। গত ২৫ এপ্রিল মুম্বই পুলিশ অনুজকে সোনু সুভাষ চান্দেরের সঙ্গে পঞ্জাব থেকে আটক করে নিয়ে আসে। এরপর এদিন তিনি সেখানেই এই ভয়াবহ কাণ্ডটি ঘটান।
কী হয়েছিল সলমন খানের বাড়ির সামনে?
এএনআইয়ের একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছিল গত চৌদ্দ এপ্রিল ভোর ৫টা নাগাদ দুজন ব্যক্তি সলমন খানের বাড়ির সামনে এসে গুলি চালিয়েছেন। প্রসঙ্গত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে এই ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়েছে। অভিনেতাকে সাবধান করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন তাঁরা। জানিয়েছেন এটাই শেষবার যখন তাঁরা সলমনকে সাবধান করলেন।
আর কাদের আটক করা হয়েছে?
বিহারের পশ্চিম চম্পারণ থেকে দুই অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর অপরাধে। এরপর মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল মুম্বই পুলিশ আরও ৫ জন ব্যক্তিকে তুলে এনেছেন এই কেসের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। এঁরা সকলেই হলেন দুই অভিযুক্তের আত্মীয়রা। এই তথ্য নিশ্চিত করেন অভিযুক্ত ভিকি গুপ্তার বাবা সাহেব গুপ্তা। তাঁদের সেই গ্রামের মোট ৬ জনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে এই কেসের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'ওয়াদা' করে ভুলে যান 'ধোঁকেবাজ' মোদী! বিজেপিকে ভোট নয়, বার্তা দিয়ে প্রচারের ফাঁকে প্যারোডি গাইলেন জুন
সাহেব গুপ্তা জানিয়েছেন, 'যে ছয়জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে পুলিশ মুম্বই নিয়ে গিয়েছে। তবে ওদের গ্রেফতার করা হয়েছে নাকি কেবল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটা স্পষ্ট নয়।' এই পাঁচজনের মধ্যে আছেন ভিকির তুতো ভাই সুনীল কুমার এবং তাঁর ভগ্নিপতি বিকাশ কুমার। এই বিকাশ কুমার যদিও পূর্ব চম্পারণে থাকেন। এদিন সাহেব গুপ্তা আরও জানান, 'আমাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুম্বই নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমি অসুস্থ থাকায় সেটা হয়নি।'