মাস কয়েক আগেই নিজের প্রেমিকের পরিচয় সামনে এনেছিলেন ভাইরাল নন্দিনী দিদি। এখন তো নিজের মুখেই জানিয়ে দিয়েছেন গোপন কথা! ইতিমধ্যেই আইনি বিয়ে সেরে ফেলেছেন তিনি। একত্রবাসও করেন। নন্দিনীর স্বামীর নাম রুদ্র দাস।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল বরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভিডিয়োও পোস্ট করেন ভাইরাল নন্দিনী দিদি। এবার ভরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘সর্বনাশ! এবার আমাকে বর পেটাবে, ঘরে ঢুকতে দেবে না’। কোন প্রসঙ্গে আর কেন এমনটা বললেন নন্দিনী?
আসলে নন্দিনীর পরিচয় এখন আর শুধু ডালহৌসীর রাস্তায় আটকে নেই। ইন্টারনেটের দৌলতে সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন নন্দিনী এখন অভিনেত্রীও। ইউটিউব, ফেসবুকের সুবাদে জনপ্রিয়তা পাওয়া পাইস হোটেলের মুখ নন্দিনী এখন মাচা শো-ও করেন চুটিয়ে। সম্প্রতি বিষ্ণুপুরের রামসাগর অঞ্চলে এক স্টেজ শো-তে পৌঁছেছিলেন নন্দিনী।
প্যান্ট-স্যুটে একদম স্টাইলিস্ট লুকে হাজির নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়। রুদ্র-প্রিয়াকে দেখেই দর্শকাসন থেকে অনুরোধ- ‘দিদি, আই লাভ ইউ বলো’। এমন অনুরোধ পেয়ে বেকায়দায় নন্দিনী। জিভ কেটে বললেন-‘ আমার বর তো আমাকে পেটাবে আই লাভ ইউ বললে, আর ঘরে ঢুকতে দেবে না… সর্বনাশ এইরকম করো না’। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে নন্দিনী বলেন-'হ্যাঁ, ভাই আমি তোমাদের, আমার বোনেদের অনেক ভালোবাসি। আমি আজ যা হয়েছি সেটা তোমাদের জন্য, তোমাদের ভালোবাসার জন্য'।
নন্দিনীর বর, রুদ্র দাসও হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শৈলশহর সিমলাতে হোটেল রয়েছে রুদ্রর। দীর্ঘদিন ধরে প্রেম সম্পর্কে থাকার পর মাস খানেক আগেই আইনি বিয়ে সেরেছেন দুজনে। শ্বশুরবাড়ি আর বাপের বাড়ি, দু'দিক ব্যালেন্স করে চলছেন নন্দিনী। সঙ্গে খুলছেন নতুন হোটেলও। বছর শেষেই নিউটাউন চত্বরে আসছে নন্দিনী দিদির হোটেল।
বাবার স্বপ্নপূরণের জন্যই স্থায়ী মাস মাইনের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। করোনা লকডাউনের পরপরই বাবার পাশে এসে দাঁড়ান এই হোটেল চালিয়ে নিয়ে যেতে। আর মেয়ের ভাগ্যে লক্ষ্মীলাভ হয়েছে নন্দিনীর বাবারও। দোকানের মেনুতে যোগ হয়েছে নিত্য নতুন খাবারের পদ। খদ্দেরও বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
এদিকে আবার অভিনয়ের জগতেও পা রেখে ফেলেছেন নন্দিনী। সিনেমার নাম ‘তিন সত্যি’। কেন্দ্রীয় চরিত্রেই রয়েছেন তিনি। একই সিনেমায় রয়েছেন উত্তম কুমারের নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ও। ছবিতে নন্দিনীর চরিত্রের নাম নিলাক্ষী। যিনি পেশায় একজন লেখিকা, সঙ্গে আবার গোয়ান্দাও। ছবির বেশিরভাগ অংশের শ্যুটিং শেষ। এখন নন্দিনীর রুপোলি ইনিংস দেখার পালা।