সালটা ২০০৭, নিউইয়র্কে থাকাকালীন ঐশ্বর্যকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন আভিষেক। তাঁর পর ঐশ্বর্য রাই ও অভিষেক বচ্চনের প্রেম গড়ায় বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত। মুম্বইয়ে বচ্চনদের বাংলোয় আয়োজিত একান্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সাতপাকে বাঁধা পড়েন ঐশ্বর্য-অভিষেক। দিনটা ছিল ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল। তারপর দীর্ঘ ১৬ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছেন ঐশ্বর্য-অভিষেক। আজ তাঁদের বিয়ের জন্মদিন।
বিয়ের আগে বচ্চন প্রথা মেনে বচ্চন পরিবারের তরফে আয়োজন করা হয় ঐশ্বর্য-অভিষেকের 'রোকা' সেরিমনি। ২০১৯-এ ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেবিষয়েই মুখ খুলেছিলেন 'রাই সুন্দরী'। ঐশ্বর্য বলেন, ‘আমি জানতাম না যে রোকা অনুষ্ঠান বলে কিছু আছে। আমরা দক্ষিণ ভারতীয়, তাই এধরনের বিষয়ে আমার কোনও ধারণা নেই। তখন আমি জানতাম নাা রোকা কী! হঠাৎ ওদের বাড়ি থেকে আমাদের বলা হয় আমরা যাচ্ছি। আমার বাবা তখন একদিনের জন্য শহরের বাইরে ছিলেন।’
ঐশ্বর্যের কথায়, ‘অভিষেক আমায় বলল, ওরা সবাই আমাদের বাড়ি আসছে। বলল, ও ওর বাবাকে আটকাতে পারবে না। ওরা ইতিমধ্যেই রাস্তায়। আমি তখন ভাবছি ও গড, এটা কী হচ্ছে। ওরা আমাদের বাড়িতে এল, সকলেই তখন আবেগপ্রবণ। আমি বুঝতেই পারছি না যে কী হচ্ছে। এদিকে আমার বাবা তখন বাড়ি নেই। আমি প্রশ্ন করলেন এটা কি কোনও বাগদান?’ এদিকে আমি আশুতোষ গোয়ারিকরের সেটে বসে আছি কনে সেজে। খজা মেরে খজা গানের শ্যুটি হচ্ছে। আমি ভাবছি সবকিছুই অফস্ক্রিন ও অনস্ক্রিন হচ্ছে। কী অদ্ভুত বিষয়।
প্রসঙ্গত, 'রোকা' হল বিয়ের আগে বর ও কনের পরিবার দেখা করে উপহার বিনিময় করে। অনেক সময় পুজোও আয়োজন করা হয়। এটা হল বিয়ের সম্মতিসূচক একটা অনুষ্ঠান।
ঐশ্বর্য ও অভিষেক ধুম ২, গুরু এবং রাবন ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। ২০০৭-এ বিয়ের পর ২০১১ সালে তাঁদের জীবনে আসে মেয়ে আরাধ্যা।'পোন্নিয়ান সেলভান-২' তে দেখা যাবে ঐশ্বর্যকে। অভিষেকের হাতে রয়েছে ‘ঘুমার’।