‘শিকার’ ছবির শ্যুটিংয়ে এখন ভীষণই ব্যস্ত অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে নুসরত জাহান এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে দেখা যাবে। তবে কেবল বাংলা ছবির মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি এই অভিনেতা। টলিউড ছাড়িয়েও তিনি পা রেখেছেন মুম্বইয়ে। এই বছরই আসতে চলেছে তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি ইয়ারিয়া ২।
এই ছবির অফার যখন প্রথম আসে কী মনে হয়েছিল? এই বিষয়ে যশ আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমায় মুম্বই ডাকা হয়েছিল। একটা মিটিংয়ের জন্য সেখানে যেতে বলা হয়। তখন গিয়ে প্রযোজক ভূষণ কুমারের সঙ্গে আমার বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। সেদিনই আমি জানতে পারি যে আমি এই ছবির জন্য নির্বাচিত হয়েছি। প্রথম বিশ্বাসই হয়নি কথাটা। আসলে ওঁরা আমার কাজ আগেই দেখেছিল, তবুও একবার সামনাসামনি দেখা করতে চাইছিলেন।'
ছোটপর্দা দিয়ে শুরু করে টলিউড পেরিয়ে বলিউড নিজের কেরিয়ার সফর নিয়ে কী মনে হয়? উত্তরে অভিনেতা জানান, 'আমি একজন অভিনেতা হিসেবে চাই যাতে আমার কাজ অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। ফলে বলিউডের ছবিতে কাজ করা আমার কেরিয়ারের একটা অংশ। তবে যেটা না বললেই নয় এই ক্ষেত্রে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে নানা সমস্যা থাকতেই পারে, কিন্তু আমি যখন বাইরে যাচ্ছি তখন কিন্তু আমি সেখানে টলিউডের প্রতিনিধি। ফলে আমার কোনও ভুল হলে ওরা গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে জাজ করবে। তাই এটা আনন্দের সঙ্গে দায়িত্বের বিষয়ও বটে!'
বলিউড প্রসঙ্গে কী মত অভিনেতার? যশের কথায়, 'এখানে আমরা অনেকটা আবেগ নিয়ে চলি, তবে বলিউড যেহেতু অনেক বড় ইন্ডাস্ট্রি, সেহেতু ওঁদের মধ্যে পেশাদারিত্ব অনেক বেশি। টলিউড যদি নদী হয়, তাহলে বলিউড সাগর।' তবে একই সঙ্গে অভিনেতা জানান, 'টলিউডে এত কম বাজেটে এত ভালো ছবি হচ্ছে। তাহলে ভাবুন এখানকার কেউ যদি বলিউডের বাজেট পান তাহলে তিনি আরও কত ভালো কাজ করবেন। এখানকার টেকনিশিয়ানরা গুণী, সেই জন্য ১০-১২ দিনে একটা ছবির শ্যুটিং শেষ হয়ে যায়।'
তবুও টলিউডের উন্নতির প্রয়োজনে কোন বদল আনা জরুরি? এই বিষয়ে অভিনেতা স্পষ্টতই জানান, 'বাণিজ্যিক ছবি বেশি করে বানাতে হবে। আজও দেখবেন জাতীয় স্তরে যে ছবিগুলো কয়েকশ কোটি টাকার উপর ব্যবসা করছে সবই কিন্তু বাণিজ্যিক ছবি। গ্রামাঞ্চলের মানুষ কিন্তু বাণিজ্যিক ছবি দেখতে চান। তাই ৩০ শতাংশ দর্শকদের জন্য বাকি ৭০ শতাংশকে ভুললে চলবে না।'
জিতের নতুন বাণিজ্যিক ছবি চেঙ্গিজ সদ্যই মুক্তি পেয়েছে, সেটা নিয়ে কী মত? যশের কথায়, 'টলিউডে একমাত্র জিৎ’দাই নিজের ঘরানা পাল্টায়নি। ওঁর মতো আমাদের সবার বেশি বেশি করে বাণিজ্যিক ছবি করা উচিত। জিৎ'দা একা যেটা করলেন সেটা সবাই করলে ভালো ফল হবেই। কেবল টুইট করে পাশে আছি, শুভেচ্ছা রইল লিখলে হবে না। আমি নিজেও বাণিজ্যিক ছবি নিয়ে থাকতে চাই। বাণিজ্যিক ছবিই করতে ভালোবাসি। এতে কারও হাসি পেলে হাসতে পারে।'