বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষাকে ‘ন্যাবচাক’ বলল ইউটিউবার ঝিলম, আর আদৃতকে ‘পেছন পাকা ছেলে’!
বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিক নিয়ে একটা পোস্ট করেছেন ইউটিউবার ঝিলম গুপ্ত। আপাতত সেটাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। যেখানে বাংলার এই জনপ্রিয় সিরিয়ালের খুব সমালোচনা করেন তিনি। আর সেটা নিয়েই যত আলোচনা।
কী লিখেছেন ঝিলম নিজের সোশ্যাল পোস্টে?
‘মিঠাই সিরিয়ালটা আমার কেন জানি না কিছুতেই ভাল্লাগেনা। যমুনা ঢাকি সিরিয়ালটা পাক্কা আকাট সিরিয়াল ছিলো। কিন্তু ওই সিরিয়ালটার আকাটমো দেখে হাসি পেত। মজা পেতাম। কিন্তু মিঠাই অতি ন্যাকা একটি সিরিয়াল যার কোন কিছুই আমায় এন্টারটেইন করে না।’
এখানেই শেষ নয় কিন্তু। ঝিলম আরও লিখেছেন, ‘একটি ন্যাবচাক (ন্যাকা+বোকা+চালাক) মেয়ে, একটি অতি পেছন পাকা ছেলে যাকে পরিবারের সবাই সমস্ত সময় তুষ্ট রাখার চেষ্টা করে, কিন্তু কেন করে? যে বাড়ির সবচেয়ে সিনিয়র মানুষ বর্তমান, সেখানে তার নাতি কি করে সব বিষয়ে হোতা হতে পারে?’
ভাবা যায়! যেই মিঠাই আর সিদ্ধার্থকে নিয়ে এত মাতামাতি, তাঁদের এভাবে নিন্দা করল ঝিলম। কী ভাবছেন, ছেড়ে দেবে সোশ্যাল মিডিয়া? ঝিলম জানিয়েছেন, ‘মিঠাই সিরিয়ালের অনেক ফ্যান আছে। তাদের একজন আমায় আমার ইউটিউব চ্যানেলে এসে থ্রেট দিয়েছে কমেন্টে, আমি মিঠাইকে কিছু বললে, আমায় জুতো মারবে। ওনার মতোই যাদের চিন্তা ভাবনা, তাদের উদ্দেশ্যে বলি, আমার পায়ের মাপ বাটার জুতো হলে ৪। স্নিকার হলে ভালো হয়। জুতোটা পুজো নাগাদ ছুঁড়বেন। তাহলে আমাকে আর ঠেলাঠেলি করে ওই ভিড়ে জুতো কিনতে যেতে হয় না আরকি।’
‘মিঠাই’-তে এই যে পটাপট সবার বিয়ে হওয়া, যা নিয়ে বিরক্ত দর্শকরাও, সে প্রসঙ্গে ঝিলম লিখলেন, ‘এই সিরিয়ালের পরিবারে কৌরবদের থেকেও বেশি মেম্বার এবং সবার জীবনে একটাই লক্ষ, বিয়ে। পালপাল ভাই বোন, ও এক বিরাট বড় পুলিশ কর্মকর্তা মিঠাই এর বাড়িময় সারাদিন ছুটে বেড়ায়।’
প্রসঙ্গত, দিন দিন কমছে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের টিআরপি। গল্প নিয়ে আপত্তি তুলেছে দর্শকদের একটা অংশ। তবে দেখার ঝিলমকে কত গালি খেতে হয় এই পোস্টের জন্য।
বায়োস্কোপ খবর