মা-বাবার পরেই সবচেয়ে কাছের সম্পর্ক দাদা-দিদি বা ভাই-বোনের সঙ্গে। কিন্তু ভাইয়ে ভাইয়ে বা ভাইয়ে-বোনে কিংবা বোনে বোনে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা না তৈরি হয় তা ছোট থেকেই নিশ্চিত করতে হয় অভিভাবকদের। সিবলিং রাইভালরি নিয়ে সচেতন থাকাটা জরুরি। দিন কয়েক আগেই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ইউটিউবার পপি। ছেলের পর মেয়েই চেয়েছিলেন গ্রাম বাংলার এই ভাইরাল গৃহবধূ। পরিবারের সকলেও দারুণ খুশি ছোট্ট পরী ঘরে আসায়।
আরও পড়ুন-লক্ষ্মী এল ঘরে! পপির মেয়েকে বরণ শাশুড়িমার, পরী আসায় মিষ্টি বিতরণ গোটা পাড়ায়
মেয়েকে সারাক্ষণ আগলে রাখছেন সকলে। মেয়ের সুখ-সুবিধার দিকেও সারাক্ষণ নজর পরিবারের সকলের। বোনকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত পপি-পুত্র অর্জুনও। কিন্তু একটু একটু মন খারাপও হচ্ছে তাঁর। দায়িত্বশীল দাদা অর্জুন এদিন বোনের জন্য দাদুর আনা নতুন জামা দেখে বলেই ফেলে, ‘অন্নপ্রাশনও তো হয়নি এখনও, ও কত্ত কিছু পেয়ে গেল ইতিমধ্যেই’। অর্জুনের কথা শুনে ঠাকুমা পালটা বলে বসেন, ‘কেন তোর লোভ হচ্ছে না কী!’ সে কথা শুনে অবশ্য ঘাড় নেড়ে অর্জুন বলে দেয় এই নিয়ে ভাবিত নয় সে।
প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল দশা সবার। খুদে যাতে কষ্ট না পায় তাই তড়িঘড়ি পপির বাড়িতে বসল এসি। ওদিকে এসি ঘরে বসে ঠাকুমা ফের অর্জুনের সঙ্গে মজা করে বলেন, ‘অর্জুন তো এখন দাদু-ঠাকুমার কাছে শোয়, ওর বোনি হয়েছে বলে ওর মা ওকে শুতে নেয়নি’। একথা শুনে অবশ্য পালটা জবাব দেয়নি অর্জুন। ছয় ছেলের পর ঘরে এসেছে কন্যা সন্তান। দাদাদের আদুরে বোন পপির মেয়ে, ঠাকুমার এই কথায় একশো শতাংশো সহমত অর্জুন। বোনকে সারাক্ষণ আগলে রাখছে সে।
এদিন পপি কিচেন খ্যাত পপির বাড়িতে এসে হাজির ‘মাসিরা’। পপির মেয়েকে আর্শীবাদ দিতে পৌঁছেছিল একদল কিন্নর। তবে পপির স্বামী সুরজিৎ চাউলিয়া তাঁদের অনুরোধ করেন অন্য দিন আসার, কারণ পরিবারের অনেক সদস্যই এদিন অনুপস্থিত ছিল। মাসিরা স্পষ্ট জানায়, পপির স্বামীকে এক লক্ষ টাকা উপহার হিসাবে দিতে হবে। তা শুনেই ভিরমি খেলেন তিনি। পরে প্রথমবার পপির মেয়েকে চিকিৎসকের কাছে চেকআপ করাতেও নিয়ে যাওয়া হয়।
আপতত রান্নার কাজ থেকে দূরে পপি, মূলত তাঁর শাশুড়িমা ও পরিবারের অন্য মহিলা সদস্যরাই পপি কিচেনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। পপির খুন্তি না নাড়লেও ভিডিয়োতে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। ভিউ সংখ্যায় কোনও কমতি নেই।