করোনাকালে ঘরবন্দি বিশ্ববাসী। লকডাউন পরবর্তী সময়েও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বেরোনোই শ্রেয় সকলের জন্য। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি বসে বসে একদম ক্লান্ত হয়ে পড়ছে টলিগঞ্জের খুদে সুপারস্টার ইউভান। অন্তত তেমন কথাই বলছে রাজ চক্রবর্তীর সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। শুধু তাই নয় ঘরবন্দি ইউভানের আরও একটা বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে, বাবার পোস্টের মাধ্যমে যার সমাধানও জানতে চেয়েছে সে। তিন মাসের এই খুদের সাইজের মাস্ক কোথাউ মিলছে না, তাই একটু বাইরে যাওয়ার কোনও অবকাশ নেই তাঁর। এখন সে কী করবে?
এদিন দিদি সৃষ্টি পান্ডের কোলে ইউভানের একটি ছবি পোস্ট করেন রাজ। যেখানে হালকা সবুজ রঙা ফুল হাতা টি-শার্টে পাওয়া গেল রাজ-শুভশ্রীর নয়নের মণিকে। ক্যামেরার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রয়েছে সে, আর ছবির ক্যাপশনে রাজ লিখলেন- কেউ কী বলতে পারবে করোনার ভ্যাকসিন কবে আসছে? আমি খুব বোর হয়ে যাচ্ছি বাড়ির ভিতরে থাকতে থাকতে। বাইরে যেতেই পারছি না, ওরা তো আমার সাইজের মাস্কও বানায় না। কী করব এবার?
রাজ চক্রবর্তী এই ছবি পোস্ট করবার সঙ্গে সঙ্গেই ইনস্টাগ্রামে লাইক,কমেন্টের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বরখা বিস্ত সেনগুপ্ত, সন্দীপ্তা সেনরা ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছে এই লিটল স্টারের উদ্দেশে।
দিন কয়েক আগেই সাদা শার্ট আর নীল ডেনিমে দেখা মিলেছিল ইউভানের। তাঁকে ‘রাউড়ি বেবি’ বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন খোদ শুভশ্রী। মায়ের কোলে বেশ সিরিয়াস মুখে পোজ দিতে দেখা গিয়েছিল ইউভানকে। উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর শুভশ্রীর কোল আলো করে আসে ইউভান। ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন হয়ে উঠেছে ইউভান।
টলিগঞ্জের তৈমুর অ্যাখাও ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে রাজ-শুভশ্রী পুত্র। রয়েছে তাঁর একাধিক ফ্যান পেজও। ছেলেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নজর থেকে দূরে রাখা নয়, এই মামলায় একদম উলটো পথে হেঁটেছেন রাজ-শুভশ্রী। নিয়মিত অন্তরালে ছেলের নানান মিষ্টি মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে থাকেন তাঁরা।