শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে ভিটামিন সি। তবে শুধু শরীরের জন্যই নয়। বরং ত্বক উজ্জ্বল করতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এই ভিটামিনটি। তবে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কী ভাবে ভিটামিন সি-কে কাজে লাগাবেন ভাবছেন? এর জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়াও ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করেও ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। আবার এই সিরাম কেনার জন্য দোকানে দোকানে ঘুরতে হবে না। বরং বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন এটি। এখানে ভিটামিন সি সিরাম বানানোর পদ্ধতি এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।
ভিটামিন সি সিরাম বানানোর পদ্ধতি
উপকরণ
- ১/৪ চামচ এল অ্যাসর্বিক অ্যাসিড পাওডার বা ভিটামিন সি পাওডার
- ১ বড় চামচ গোলাপ জল
- ১ চামচ গ্লিসারিন
- ১টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল
পদ্ধতি
একটি পাত্রে গোলাপ জল ঢালুন। তার পর এতে এল অ্যাসর্বিক অ্যাসিড বা ভিটামিন সি পাওডার দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন। এর পর এতে গ্লিসারিন, ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিন। তার পর ভালো ভাবে নাড়িয়ে ঠান্ডা স্থানে এই সিরামটি স্টোর করে নিন। প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন।
ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহারের উপকারিতা
১. ত্বকে পুষ্টি জোগায়- হাইড্রেশানের অভাবে ত্বক নিস্তেজ ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। কিন্তু এই সিরাম ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বককে নিস্তেজ হতে দেয় না।
ত্বকের যৌবন ফেরায়
চোখে-মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়ুক, তা কেউই চায় না। দূষণ, রোদ, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া সময়ের আগেই মুখে বার্ধক্যের ছাপ ফুটিয়ে তোলে। সে ক্ষেত্রে ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করে ত্বকের আকর্ষণ ও যৌবন ফিরিয়ে আনা যায়।
ত্বককে অতিবেগুনী রশ্মি থেকে নিরাপদে রাখে
সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির ফলে ত্বকে দাগ-ছোপ দেখা দেয়। ত্বক হতে পারে শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত। তাই বাড়ির ভিতর ও বাইরে সানস্ক্রিন লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকে প্রবেশ করলে, তার ক্ষতির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন এই সিরাম
প্রথমে ২ থেকে ৩ ফোঁটা সিরাম লাগানোর পর ময়শ্চারাইজার লাগানো উচিত। কিন্তু অতিসংবেদনশীল ত্বক থাকলে এই সিরাম লাগাবেন না। কারণ এর ফলে অ্যালার্জি বা ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে। প্যাচ টেস্ট করার পর এই সিরাম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।