ভাজা জোয়ান শুধু যে আপনাকে হজম করতে সাহায্য করে তা নয় ঠান্ডা লাগার হাত থেকে উপশম দিতে, অতিরিক্ত ওজন কমাতেও খুব কাজে আসে। দেখুন কীভাবে খাবেন এটিকে রোজ-
1/6 শীত শুরু হলেই ঠান্ডা-সর্দির মতো সমস্যা মানুষকে বিপাকে ফেলতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে আপনিও যদি ঠান্ডা-সর্দি-কাশির সঙ্গে আপনার বাড়তে থাকা ওজন নিয়েও বিরক্ত হন, তাহলে ভাজা জোয়ান আপনাকে সাহায্য করবে এর থকে মুক্তি পেতে। কখনও রান্নায়, কখনও মুখশুদ্ধি হিসেবে আবার কখনও হজমশক্তি ঠিক রাখতে আপনি আজ অবধি বহুবার জোয়ান খেয়েছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক ভাজা জোয়ান খেলে একজন মানুষ কী কী আশ্চর্যজনক উপকার পাবেন-
2/6 জোয়ানের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। তাই নয় যারা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন তাঁরা জোয়ানের জল ও পাউডারও খেতে পারেন।
3/6 ভাজা জোয়ান পাকস্থলীর এনজাইম বাড়িয়ে হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত করতে কাজ করে। যারা ওজন কমাতে চান তারা সকালে খালি পেটে এটি খেতে পারেন। এর জন্য জোয়ান, মেথি এবং মৌরি সমান পরিমাণে ভাজুন। এবার একসঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নিন। এই মিশ্রণটি এয়ারটাইট কৌটে ভরে রেখে দিতে পারেন। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এক চা চামচ এই মিশ্রণ গরম জলের সঙ্গেও খেতে পারেন।
4/6 ইনফ্ল্যামেশনের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাঁদের জন্যও ভাজা জোয়ান উপকারী। অনেকেই আছে যাদের দেখতে একটু ফোলা লাগে, বিশেষ করে খাবারে হঠাৎ করে অনিয়ম হলে এমনটা বেশি হয়। এক্ষেত্রেও জোয়ানে থাকা এনজাইম দ্রুত সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পেটে প্রদাহ কমিয়ে ফোলা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
5/6 থাইমল, সেলারিতে উপস্থিত সক্রিয় এনজাইম, গ্যাস্ট্রিক রস নিঃসরণে সাহায্য করে যা হজমের উন্নতি করে। পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জোয়ান চিবিয়ে খেয়ে ১ গ্লাস জল পান করে নিন।
6/6 কাশির পাশাপাশি ঠান্ডা লাগার সমস্যায় উপশম দিতেও সাহায্য করে ভাজা জোয়ান।এটি শ্বাসনালীকে প্রশস্ত করতে সাহায্য করে, যা হাঁপানির রোগীদের অনেকটা আরাম দেয়। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যগুলি একজন ব্যক্তিকে ভাইরাল ইনফেকশনের থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করে।