ওমিক্রনের প্রভাব আস্তে আস্তে কমছে। যে মারাত্মক হারে ওমিক্রন বেড়ে গিয়েছিল, তেমন হারেই কমে গিয়েছে এর সংক্রমণের হার। তাহলে কি এখানেই শেষ? নাকি এর পরে আবার আসতে পারে করোনার আরও একটি ঢেউ? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
সম্প্রতি National IMA COVID Task Force-এর Co-Chairman চিকিৎসক রাজীব জয়দেবন সংবাদমাধ্যমকে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, করোনাভাইরাস এখনই মানুষকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে না। এটির সংক্রমণের হার কখনও বাড়বে, কখনও কমবে। যখনই নতুন একটি রূপ আসবে আবার বাড়বে এর সংক্রমণের হার। তার পরে আস্তে আস্তে কমে যাবে। অতিমারির ইতিহাস এটাই বলছে।
ওমিক্রন কি আবার একটি নতুন ঢেউ ডেকে আনবে?
চিকিৎসকের কথায়, ওমিক্রন আরও একটি ঢেউ ডেকে আনতে পারবে বলে মনে হয় না। একবার ওমিক্রন যেমন রূপ ধারণ করেছিল, তেমন আর হওয়া সম্ভব নয়। এমনটাই বলছেন জয়দেবন।
ওমিক্রন BA.2 কি নতুন ঢেউয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে?
এরও উত্তর দিয়েছেন জয়দেবন। তাঁর মতে, ওমিক্রন BA.2 কোনও নতুন রূপ নয়। এটি ওমিক্রনের একটি ভাগ। এটির কারণে নতুন ঢেউ আসার আশঙ্কা তুলনায় কম। করোনার নতুন রূপ এলে সেটি নতুন ঢেউ নিয়ে আসতে পারে।
নতুন রূপের ধরন কেমন হতে পারে?
জয়দেবনের কথায়, যত দিন এগোবে, একদিকে মানুষও যেমন এই রোগটির বিরুদ্ধে লড়াই করার বেশি শক্তি পাবে, তেমনই ভাইরাসটিও নিজেকে বদলে বদলে টিকা এবং সংক্রমণ থেকে পাওযা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাঙার শক্তি জোগার করার চেষ্টা করবে। ফলে সেটি চলতেই থাকবে। ইতিমধ্যে ওমিক্রন এবং ওমিক্রন BA.2 দেখিয়ে দিয়েছে, টিকা থেকে পাওয়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি ভেদ করতে পারে তারা।
কবে নাগাদ আসতে পারে পরের ঢেউ?
চিকিৎসকের কথায়, মোটামুটি আন্দাজ করা যায়, ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে আবার একটি করোনা ঢেউ এসে পড়তে পারে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে ভাইরাসটি নিজের রূপ বদলে কেমন আকার নেয়, তার উপর।