বর্তমান সময়ে মনোরোগ বা অবসাদ একটা বিরাট আকার ধারণ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সবাই বাইরে থেকে হাসিখুশি। কিন্তু ভিতর ভিতর অনেকেই গুমরে মরে। বলতে পারে না। অনেক সময় হয়তো বুঝতেও পারেন না অনেকে যে তিনি অবসাদে ভুগছেন। কাজের চাপ, সম্পর্কের টানাপোড়েন, পারিবারিক কারণ সহ একাধিক কারণের জন্য মানসিক অবসাদ দেখা দিতে পারে। হয়তো আপনার অজান্তেই এই রোগ আপনার ভিতর বাসা বেঁধেছে। লক্ষণ দেখে চিনুন এই রোগকে।
শরীরের কোনও রোগ হলে তা সহজেই চিহ্নিত করা যায়, তার দ্রুত চিকিৎসা করা যায়। কিন্তু মনের সমস্যা বড়ই জটিল। আর রোগে কাবু আজ অনেকেই। বলতে গেলে বর্তমান প্রজন্মের অর্ধেকের বেশি মানুষ মানসিক অবসাদে ভুগছেন কোনও না কোনও কারণে। যাঁরা মানসিক অবসাদে ভোগেন বা মনে কষ্ট পুষে রাখেন তাঁদের কাউন্সেলিং প্রয়োজন হয় একটা সুস্থ, স্বাভাবিক, স্ট্রেস ফ্রি জীবন কাটানোর জন্য। তার আগে মানসিক অবসাদকে চেনা প্রয়োজন। কী দেখে বুঝবেন যে আপনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন? দেখুন।
আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া। অবসাদ গ্রাস করলে এই ভাবনা অনেকের মধ্যেই আসে। তখন আর বাঁচতে ইচ্ছে করে না। মনে হয় মরে গেলেই হয়তো সব সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু সেটা তো নয়। পালিয়ে কি মুক্তি মেলে? তাই আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
অল্পেই বিরক্ত হওয়া। সামান্য কিছুতেই যদি রাগ হয়ে যায়, অল্পেতেই যদি বিরক্ত বোধ করেন তাহলে জানবেন ভিতর ভিতর কিছু আপনাকে স্বস্তি দিচ্ছে না। অবসাদে ভুগছেন। খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যাবে হুট করেই।
হতাশাগ্রস্ত হওয়া। আপনার দ্বারা কিছু হবে না। আপনি কিছু পারবেন না করতে যদি মনে হতে থাকে বারবার তাহলে বুঝবেন আপনি অবসাদে ভুগছেন।
অবসাদ গ্রাস করলে খিদে, ঘুম দুই কোন যায়। অকারণ নানান চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়। এমনটা হলে সচেতন হন। এর অর্থ আপনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন।
আর এই লক্ষণগুলো চিনলে চুপ করে বসে থাকবেন না। কারও সঙ্গে কথা বলুন। মন খুলে আলোচনা করুন। মনের কথা বললে বা ভাগ করলে সমস্যা অনেকটাই কমে। পরিচিত কাউকে না বলতে পারলে বা যদি বোঝেন ব্যাপারটা গুরুতর মনোবিদ বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ওষুধ খান সঠিক। সঠিক চিকিৎসার মধ্যে থাকলে দ্রুত অবসাদ কাটিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসবেন।