প্রতিটি মিষ্টি জাতীয় খাবারই অস্বাস্থ্যকর নয়, কিছু কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ দরকারি এবং সেটা সঠিক উপায়ে এবং পরিমাণে খাওয়া উচিত। মধু হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া মিষ্টি যা খাবার থেকে চিকিৎসা সবেতেই বহু যুগ ধরে ব্যবহার করে আসা হচ্ছে।
মধুতে থাকে ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম, ভিটামিন এবং মিনারেল। গ্লাইসেমিক সুগার চিনির থেকে মধুতে কম থাকে যা আমাদের রক্তের সুগার লেভেল ঠিক রাখে।
মধুর একাধিক উপকারিতা আছে। এটা যেমন আমাদের হার্টকে ভালো রাখে, তেমনই ত্বক পরিচর্যায় ব্যবহৃত হয়, একই রকম ভাবে আবার ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে থাকে।
জেনে নিন মধুর উপকারিতা কী কী?
*চোখ ভালো রাখে মধু।
*তেষ্টা মেটায়।
*কফের সমস্যা দূর করে মধু।
*শ্বাসকষ্টের সমস্যা, সর্দি, ডায়রিয়া, ইত্যাদির সমস্যাও কমাতে সাহায্য করে মধু।
*শরীর থেকে বর্জ্য দূর করে, ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে মধু।
*হার্টের স্বাস্থ্য এবং ত্বক ভালো রাখে।
*টিস্যুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে মধু।
বিভিন্ন ধরনের মধু
যে মধু সদ্যই মধুচাক থেকে সংগ্রহ করে আনা হয়েছে সেটা ওজন বাড়ায়, এবং রেচন পদ্ধতি কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে পুরনো মধু মেটাবলিজমে সাহায্য করে থাকে।
মধু খাওয়ার সময় কী করবেন আর কী করবেন না
*গরম জলে কখনই মধু খাওয়া উচিত নয়।
*গরম আবহাওয়ায় যখন কাজ করছেন তখন কখনই মধু খাবেন না।
*মশলাদার খাবার, অথবা ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মধু খাবেন না। এমনকি হুইস্কি, রাম, বা সর্ষের সঙ্গেও মধু মেশাবেন না।
তাহলে ভাবছেন মধু কীভাবে খাবেন যাতে উপকার মেল? দেখে নিন পদ্ধতি।
১. মেদ ঝরাতে চাইলে বা ওজন কমাতে চাইলে নর্মাল তাপমাত্রায় থাকা জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান।
২. সর্দি কাশি হলে এক চামচ মধু এবং ১টা গোলমরিচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সেটা খান উপকার পাবেন।