মিলনের সময়ে তিনি নাবালিকা ছিলেন। এই মর্মে এক যুবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন তরুণী। সেই মামলার শুনানির সময়ে হাইকোর্টের তরফে জানানো হল নতুন সিদ্ধান্ত। বলা হল, দুই তরফের সম্মতি থাকলে আধার কার্ড দেখে বয়স যাচাই করে নেওয়ার কোনও দরকার নেই। এমনটিই জানাল দিল্লি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
এই মামলাটির প্রসঙ্গে বিচারপতি জসমিত সিংহ জানান, আলাদা আলাদা নথিতে অভিযোগকারিণী নানা রকম বয়স জানা গিয়েছে। তিনটি ভিন্ন জন্মতারিখ রয়েছে তাঁর বিভিন্ন নথিতে। আর আধার কার্ডে তাঁর জন্মের তারিখ ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি। সেই হিসাবে দেখতে গেলে ঘটনাটি যখন ঘটেছে, সেই সময়ে তিনি মোটেই নাবালিকা ছিলেন না। ফলত ধর্ষণের অভিযোগ এক্ষেত্রে টেকে না।
এছাড়া আরও একটি কথা বলা হয়েছে আদালতের তরফে। বলা হয়েছে, যদি পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে দু’জন মানুষ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাহলে আধার কার্ড কিংবা প্যান কার্ড দেখে সঙ্গীর বয়স যাচাই করার কোনও প্রয়োজন নেই। এমনই জানিয়েছেন বিচারপতি জসমিত সিংহ।
এখানেই শেষ নয়। এর পরে বিচারপতি আরও বলেন, মামলাটি আপাতদৃষ্টিতে যেমন বলে মনে হচ্ছে, আদপেও তেমন নয়। একই ধরনের আরও একটি মামলারউদাহরণ নিয়ে এসে বিচারপতির বক্তব্য, কিছু ক্ষেত্রে এই রকম অভিযোগ তুলে চাপ সৃষ্টি করে টাকা নিতেও দেখা গিয়েছে। এই মামলাটিতেও তেমন কিছু ঘটেছে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছেন বিচারপতি। ফলে সেই বিষয়টি পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে তাঁদের তরফে।