বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Diabetes: কড়া নিয়ম মেনে চলছেন, অথচ কমছে না ডায়াবিটিস? জেনে নিন এর পিছনের কারণ
ডায়াবিটিসের রোগী মানেই কড়া নিয়ম মেনে চলা। খাবার বা ওষুধে অনিয়ম করলেই বাড়তে পারে বিপদ। অথচ কড়া নিয়মেও যে সবসময় লাভ হচ্ছে এমনটা নয়। দিনের শেষে দেখা যায়, রক্তে শর্করার পরিমাণ বিপদমাত্রার আশেপাশেই থাকছে। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা একান্ত জরুরি। শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকলে এড়ানো যায় কিডনি ও হৃদজনিত সমস্যা থেকে দৃষ্টিজনিত সমস্যা। এছাড়া ডায়াবিটিসের কারণে নতুন জীবনধারায় অভ্যস্ত হতে হয়। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকলে এনার্জি ও মুডও ঠিক থাকে।
ডায়াবিটিস রোগের ক্ষেত্রে শরীর নিজের থেকে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরি বা ব্যবহার করতে পারে না। কড়া নিয়মের মধ্যে থাকলেও প্রায়ই দেখা যায়, রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক নেই। অ্যাপোলো স্প্রেকট্রা দিল্লির ডায়াবিটিস বিশেষজ্ঞ ডাঃ ত্রিভুবন গুলাটি এর পিছনে আটটি কারণের কথা বলেছেন।
- অত্যাধিক স্ট্রেস ও রোদের গরমে ডিহাইড্রেশনের কারণে শরীরে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। এর ফলে বৃক্ক অতিরিক্ত জল ধরে রাখার চেষ্টা করে। এই সময় যকৃৎ থেকে বেশি পরিমাণে শর্করার ক্ষরণ শুরু হয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
- কফি ও কৃত্রিম মিষ্টিকারক পদার্থ ডায়াবিটিসের বিপদ বাড়িয়ে দেয়। কফি চিনি ছাড়া খেলেও কারও কারও ক্ষেত্রে এটি শরীরে শর্করা তৈরিতে সাহায্য করে। তাই, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে কফি ও কৃত্রিম মিষ্টিকারক পদার্থ এড়িয়ে চলা উচিত।
- অনিয়মিত ঘুমও বাড়িয়ে দিতে পারে ইনসুলিনের মাত্রা। অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে শরীরে কমে যায় লেপ্টিন হরমোনের পরিমাণ।অন্যদিকে বাড়তে থাকে ঘ্রেলিন হরমোনের পরিমাণ । ঘ্রেলিন হরমোনের বৃদ্ধির ফলে খিদের অনুভূতি তৈরি হয়।
- জলখাবার না খাওয়ার ফলে হেরফের হতে পারে ইনসুলিনের স্বাভাবিক মাত্রায়। নানা রকম কাজের চাপে জলখাবার খেতে ভুলে গেলেই শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়তে থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা, জলখাবার কখন খাওয়া হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে।
- হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা ওঠানা্মার ফলেও শরীরের শর্করার মাত্রায় প্রভাব পড়তে পারে। সাধারণত ভোরের দিকে হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শর্করার মাত্রাও বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
- ডিহাইড্রেশনের কারণে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে রক্তে শর্করার ঘনত্ব বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত শর্করা বৃক্কের মাধ্যমে পরিশোধিত হয়। এতেই বৃক্কের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে।
- কিছু নাসাল স্প্রেতে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এই কারণেও বাড়তে পারে শর্করার মাত্রা।
- মাড়ির সমস্যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফলে এর থেকেও ডায়াবিটিস হয়।